দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ পাহাড়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিউতি কথা বলছেন পথের ধারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। নেহেরু রোডে তখন চলছে পালস পোলিও কর্মসূচি। আচমকাই মুখ্যমন্ত্রীর দিকে এগিয়ে গেলেন দুই তরুণী। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করলেন এক শিশুকে পালস পোলিও খাওয়ানোর জন্য।
দার্জিলিং হাসপাতালের ওই দুই নার্সের ডাকে সাড়া দিয়ে তৎক্ষণাৎ ওই কর্মসূচিতে যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুচার বস্তির বাসিন্দা সাহিল খান-সহ সেখানে তখন উপস্থিত আরও অনেক বাচ্চা। ছোটদের পোলিও খাওয়ানোর জন্য এগিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তার আগে টেলিফোনে কথা বলে নেন জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে সঙ্গে সঙ্গে নেহেরু রোডে চলে আসেন দার্জিলিং পুরসভার মেডিক্যাল অফিসার নৌশাদ সিদ্দিকি। তাঁকে পাশে নিয়েই সাহিলকে পোলিও খাওয়ান মমতা। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের এহেন ভূমিকায় পথচলতি মানুষ তখন অবাক। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২০১১ সালে তিনি যখন এই কর্মসূচি শুরু করেছিলেন তখন শিশুদের পোলিও খাইয়েছিলেন। ফের এ দিন আবার পোলিও খাওয়ালেন। এরপর সেখানে উপস্থিত তিন শিশুকে লাগোয়া দোকান থেকে সোয়েটারও কিনে দেন তিনি।
দার্জিলিং হাসপাতালের দুই নার্স লক্ষ্মী শর্মা ও বিনীতা সুব্বা জানান, পোলিও সপ্তাহ চলছে। তাই তাঁরা নিয়ম করে যে সব শিশু এই কর্মসূচির আওতা থেকে বাদ পড়ে যায়, তাদের খুঁজে বের করে পোলিও ড্রপ খাওয়ান। এ দিন ঘটনাচক্রে মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে যান তাঁরা। লক্ষ্মী ও বিনীতা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যদি পোলিও ড্রপ খাওয়ান তাহলে মানুষের মধ্যে খুবই ইতিবাচক বার্তা যাবে ভেবেই তাঁর কাছে ছুটে গিয়ে আর্জি জানিয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে সহযোগিতা করেছেন তা অভাবনীয় বলেই মনে হচ্ছে।”
দার্জিলিং প্রেস গিল্ডে বসে বিনয় তামাং জানান, অন্তত ১৫ হাজার মানুষ বুধবারের মিছিলে হাঁটবেন। ভানুভবন থেকে মিছিল শুরু হয়ে কাকঝোরা পর্যন্ত এসে ফের ঘুরে চকবাজারে গিয়ে শেষ হবে। সেখানে জমায়েতে বক্তব্য রাখার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।