দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধান পারভেজ মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড দিল পাকিস্তানের বিশেষ আদালত। দেশদ্রোহিতার মামলায় পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাপ্রধান মুশারফকে এই সাজা দিল পাকিস্তানের বিশেষ আদালত।
A special court hands death penalty to former Pakistani military dictator Pervez Musharraf in high treason case: Pakistan Media (file pic) pic.twitter.com/8V3j7uAyZI
— ANI (@ANI) December 17, 2019
রাষ্ট্রদোহিতার মামলায় ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ৭৬ বছর বয়সী পারভেজ মুশারফকে বিবৃতি রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছিল লাহোরের ওই বিশেষ আদালত। ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন পারভেজ মুশারফ। এরপরেই মুশারফের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা করেন প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট নওয়াজ শরিফ। ২০১৩ সাল থেকে এই মামলা আদালতে ঝুলছিল।
যদিও বর্তমানে পাকিস্তানের বাসিন্দা নন মুশারফ। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি দুবাইয়ের স্থায়ী বাসিন্দা। লাহোরের বিশেষ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন তাঁর অনুপস্থিতিতে যেন বিচার না হয়। মুশারফ বলেন শারীরিক ভাবে সুস্থ হয়ে আদালতের সামনে না আসা পর্যন্ত যেন বিশেষ আদালতের সংরক্ষিত রায় যেন স্থগিত করা হয়।
এর আগে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে পলাতক বলে ঘোষণা করেছে আদালত। কারণ কোর্ট বার বার ডেকে পাঠানো সত্ত্বেও তিনি উপস্থিত হননি। ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিকে বলা হয়েছে, মুশারফকে গ্রেফতার করতে হবে।
নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ বলেন, তাঁর বাবা আগেই দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মুশারফকে অভিযুক্ত করতে চেয়েছিলেন। তখনই নওয়াজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়।
২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের শাসক ছিলেন মুশারফ। খুব কম শাসকই পাকিস্তানে এতদিন ক্ষমতায় থাকতে পেরেছেন। ২০০৮ সালে তিনি যান স্বেচ্ছানির্বাসনে। ২০১৩ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানে ফেরেন। তিনি চেয়েছিলেন ফের ভোটে দাঁড়াবেন। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগে আদালত তাঁর ভোটে দাঁড়ানো বন্ধ করে দেয়।