দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শনিবারের বারবেলায় তৃণমূল কংগ্রেস যখন ভোট স্লোগান আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করেছে, তখন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও তাঁদের পুরনো রাজনৈতিক লাইন নতুন মোড়কে টুইট করেছেন।
তৃণমূলের স্লোগান, ‘বাংলা তার নিজের মেয়েকে চায়’। অনেকের মতে, এই স্লোগানের মধ্যে বাংলা ও বাঙালি যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে ব্র্যান্ড মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপণন। তৃণমূলের এই ব্র্যান্ডটাই বড় পুঁজি।
কিন্তু কৈলাসের বক্তব্য বাংলার সমীকরণ পরিষ্কার। পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি তৃণমূলের উপ মুখ্যমন্ত্রী। সিপিএম-কংগ্রেস জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রার্থী হলেন আবদুল মান্নান। আর কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, “বাংলা কোন দিকে যাচ্ছে, তা বাংলার মানুষকে ভাবতে হবে।”
पश्चिम बंगाल का समीकरण !!!
— Kailash Vijayvargiya (@KailashOnline) February 20, 2021
पीरजादा अब्बास सिद्दीकी टीएमसी का उपमुख्यमंत्री
कांग्रेस और सीपीएम गठबंधन का मुख्यमंत्री अब्दुल मनाद
कोलकाता का मेयर फिरहाद हकीम
किधर जा रहा है बंगाल!
बंगाल के लोगों को सोचना होगा।
শুধু কৈলাস কেন, অমিত শাহদের পরিষ্কার বক্তব্য, ব্র্যান্ড ইত্যাদি বাহ্যিক কথা। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রসায়ন হল সংখ্যালঘুদের তুষ্টিকরণ। শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, শাসক দলের ভোট কুশলী পরিষ্কার বলছেন, ৩০ শতাংশ ভোট তাঁদের নিশ্চিত। কোন ৩০ শতাংশ তা মানুষ ঠিক বুঝতে পারছে। ওদিকে বাম কংগ্রেসেরও লক্ষ্য এখন সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসানো।
তৃণমূল সম্পর্কে এ সব কথা বলে, কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা বাংলায় ধর্মীয় মেরুকরণ তীব্র করে তুলতে চাইছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। যা বিজেপিরও পুরনো লাইন।
কৈলাসের এই টুইট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, “বিভাজনের রাজনীতি বিজেপির মজ্জায় রয়েছে। সংখ্যালঘুরাও ভারতের নাগরিক। তাঁদের সমানাধিকার রয়েছে। সমাজের একটা অংশ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন রেখে গোটা সমাজের উন্নয়ন হতে পারে না”।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, বাংলার ভোটে এবার ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা যে দুই শিবিরের তরফেই হবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে হ্যাঁ তার বাইরেও কথা হবে। তৃণমূল যেমন বাংলার মেয়ের কথা বলবে, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, ২ টাকা কেজি চালের কথা বলবে, তেমনই নরেন্দ্র মোদী বলবেন বাংলার অনগ্রসরতা কাটানোর কথা, শিল্পায়ণের কথা, পরিকাঠামো উন্নয়নের কথা। উদ্বেগের বিষয় শুধু একটাই এই তীব্র মেরুকরণের অভিঘাতে বাংলায় যাতে অশান্তির আবহ তৈরি না হয়।