দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ইরান কখনও যুদ্ধে জেতেনি। কিন্তু আলোচনার টেবিলে তারা কখনও হারেনি। শুক্রবার সকালে বিমান হানায় ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডের কম্যান্ডার কাসেম সোলেমানির মৃত্যুর পর সন্ধ্যায় প্রথম টুইট করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোলেমানির মৃত্যুর পর ইরান ও ইরাক, দু’দেশই আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। তারপরে ট্রাম্পও পরোক্ষে তাদের যুদ্ধেরই হুমকি দিলেন বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট টুইট করে বলেন, পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ইরান ও আমেরিকার মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল, তা ছিল ‘মারাত্মক একপেশে।’ অপর একটি টুইটে তিনি বলেন, “বেশ কিছুদিন ধরে সে হাজার হাজার মার্কিন নাগরিককে হত্যা করেছে অথবা গুরুতর আহত করেছে। সে আরও অনেককে খুন করার ছক কষছিল। কিন্তু তার আগেই ধরা পড়ে গিয়েছে। সে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। সম্প্রতি সে বড় সংখ্যক মানুষকে হত্যা করেছে।”

পরে ট্রাম্প বলেন, “ইরানে সোলেমানিকে সবাই ভয় করত। ঘৃণাও করত।” তাঁর দাবি, ইরানের নেতারা আন্তর্জাতিক মহলকে বিশ্বাস করাতে চাইছেন, সোলেমানির মৃত্যুতে সেদেশের মানুষ খুব শোক পেয়েছেকিন্তু তা মিথ্যা। বাস্তবে তাকে অনেক আগেই মারা উচিত ছিল।

মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পিও ফোনে জার্মানি, চিন এবং ব্রিটেনের রাষ্ট্রপ্রধানদের বলেন, তাঁদের দেশ যুদ্ধের উত্তেজনা কমাতে দায়বদ্ধ। সোলেমানির হত্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, সে অনেক আমেরিকানকে খুন করার চক্রান্ত করেছিল। তাঁদের নিরাপত্তার জন্যই সোলেমানিকে মারতে হয়েছে।


আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতর থেকেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী সোলেমানির হাত থেকে নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট তেমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন।


মার্কিন বাহিনীর সদর দফতর পেন্টাগন থেকে বলা হয়েছে, “সোলেমানি পশ্চিম এশিয়া জুড়ে আমেরিকার কূটনীতিক ও দূতাবাসের অন্যান্য কর্মীকে খুনের ছক কষছিল। সে বহু আমেরিকানের মৃত্যুর জন্য দায়ী।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here