দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাত ৩টে থেকে সাড়ে ৩টে নাগাদ খবর আসে পুলিশের কাছে। মুম্বই আন্ধেরি ইস্টে সড়কের ওপর একটি টেম্পোতে এক মহিলা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ দেখে, গোটা টেম্পোয় পড়ে রয়েছে চাপ চাপ রক্ত। তার মধ্যেই অচৈতন্য এক মহিলা, রক্তে ভেসে যাচ্ছে শরীর।
দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের ছায়া এবার মুম্বইতে। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের পরে ওই মহিলার ওপর পৈশাচিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। রড ঢুকিয়ে ছিন্নভিন্ন করা হয়েছে যোনি। শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গও ক্ষতিগ্রস্থ। সারা শরীরে মারধরের কালশিটে দাগ। ক্ষতবিক্ষত গোপনাঙ্গ। নির্যাতিতার অবস্থা সঙ্কটজনক বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
মুম্বই আন্ধেরির সাকি নাকা এলাকায় এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার মধ্যরাতে। ডেপুটি কমিশনার (জ়োন ১০) মহেশ্বর রেড্ডি বলেছেন, রাত ৩টে নাগাদ পুলিশের কন্ট্রোলরুমে ফোন করে খবর দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দেখা যায়, টেম্পোতে ওই মহিলা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। কাছেই একটি গাড়িতে আহত অবস্থায় এক ব্যক্তিকেও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার বয়স ৩২-৩৩ বছর হবে। ঘাটকোপারের রাজাওয়াড়ি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে। মেডিক্যাল টেস্টে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ঘটনায় মোহিত চৌহান নামে ৪৫ বছরের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতকে জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছেন তদন্তকারীরা।
২০১২ সালে দিল্লিতে এমনই একটি নৃশংস ধর্ষণের ঘটনায় শিউরে উঠেছিল দেশ। চলন্ত বাসে প্যারা মেডিক্যালের ছাত্রী নির্ভয়ার ওপরে পৈশাচিক শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছিল ছয় জন। গণধর্ষণ করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল তাকে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত রাম সিংহ জেলের মধ্যেই আত্মহত্যা করে। এক নাবালক তিন বছর পরে সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পায়, বাকি চার অপরাধী পবন গুপ্ত, বিনয় শর্মা, অক্ষয় ঠাকুর ও মুকেশ সিংয়ের ফাঁসি হয়।