দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসের কর্মসূচিতে গিয়ে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেই নিশানা করলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। এদিন রাজ্যসভার সাংসদ বলেন, “নন্দীগ্রামের আন্দোলন ছিল মানুষের আন্দোলন। কেউ কেউ এই আন্দোলনকে তাঁর ব্যক্তিগত ভাবেন। কিন্তু এই আন্দোলনের একজনই নেত্রী। তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
শুভেন্দু দল ছাড়ায় যে আসলে তৃণমূলের কোনও ক্ষতিই হবে না তাও বোঝাতে চান সুব্রত বক্সি। তিনি বলেন, “গাছ থেকে দুটো পাতা ঝরে গেলে গাছের ওজন কমে না।” এর আগে কাঁথিতে গিয়ে সৌগত রায়ও বলেছিলেন, “দিঘার সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে কেউ যদি দু’বালতি জল তুলে ভাবেন সমুদ্রটাকে শুকিয়ে দেবেন তাহলে তিনি মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন।” এদিন সেই একই সুর শোনা গেল বক্সিবাবুর গলায়।
প্রসঙ্গত, আজ নন্দীগ্রামে কর্মসূচি ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সেই কর্মসূচি পিছিয়ে দেন তৃণমূলনেত্রী। কথা রয়েছে আগামী ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে যাবেন মমতা।
২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামের তেখালি ব্রিজের কাছে ভরত মণ্ডল, সেখ সেলিম-সহ মোট তিন জন গ্রামবাসীর দেহ উদ্ধার হয়। সেই থেকেই এই দিনটিকে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রথম শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে। বুধবার ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা পেরোতেই নন্দীগ্রামের শহিদমিনার প্রাঙ্গণে চলে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। আগামী কাল নন্দীগ্রামে জনসভা রয়েছে তাঁর।
এদিন সুব্রত বক্সি আরও বলেন, “হিন্দিভাষীদের কাছে পশ্চিমবাংলাকে বিকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা হিন্দিভাষীদের শ্রদ্ধা করি। হিন্দি ভাষাকে মর্যাদা দিই। কিন্তু বাইরের কিছু নেতা বাংলায় এসে আস্ফালন দেখাচ্ছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।”
একুশের নির্বাচনের বৃহত্তর প্রেক্ষাপটও ব্যাখ্যা করেন সুব্রত বক্সি। তিনি বলেন, “এই নির্বাচন আমাদের কাছে কঠিন নির্বাচন নয়। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ নির্বাচন। কেন্দ্রে যে সংবিধান ধ্বংসকারী শক্তি ক্ষমতায় রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে লড়াই হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই। সারা দেশ তাকিয়ে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। তাই একুশের ভোটে জিতে আমাদের সংগ্রাম থেমে যাবে না। নতুন লড়াই শুরু হবে।”