দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ দু’দিন আগে নন্দীগ্রামে জনসংযোগ অভিযান চালাচ্ছিলেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। ভেকুটিয়া বাজারের একটি সভায় তিনি বলেছিলেন, “তৃণমূল এখন আমিরুল, সুফিয়ান, সামাদ, শাহবুদ্দিনদের হাতে। যারা পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচে জিতলে বোম ফাটায়। এই লুম্পেনদের হাতে চলে গেছে তৃণমূল।”
বুধবার সেই নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শানালেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এখন ইন্ডিয়া-পাকিস্তানের কথা বলছে। বাবুদের ১০ বছর ইন্ডিয়া-পাকিস্তানের কথা মনে পড়েনি। ডিসেম্বর মাসের পর থেকে বলছে। এখন আলাদা আলাদা সম্প্রদায়ের কথা বলছে।
নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিজেপি-তে যাওয়ার পর শুভেন্দু সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। অভিষেক বলেন, ‘‘যারা নন্দীগ্রামের বুকে ভারত-পাকিস্তানের কথা বলছে, ডিসেম্বরের পর থেকে যাদের ভারত-পাকিস্তান করছে, যারা বলছে এক পক্ষে ২ লক্ষ ১৩ হাজার আর অন্য পক্ষে ৬২ হাজার, তাদের মানুষ জবাব দেবে।’’
অভিষেক আরও বলেন, “যদি সংখ্যা দিয়ে মানুষের নাম হত তাহলে তো তোমার নাম শুভেন্দু অধিকারী না হয়ে হত ফোর টোয়েন্টি অধিকারী।” তাঁর কথায়, “এরা সংখ্যা দিয়ে বিভেদ করে নন্দীগ্রামকে কলুষিত করতে চায়।”
তিনি বলেন, ‘‘যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কন্যাশ্রী’, ‘যুবশ্রী’, ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়েছিলে, তখন তো সংখ্যার কথা ভাবোনি? বিজেপি-তে গিয়ে এই শিক্ষা হয়েছে? সংখ্যার ভিত্তিতে মানুষের নামকরণ হলে তাহলে শুভেন্দু অধিকারী নাম হতো না, নাম হতো ৪২০ অধিকারী।’’
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রথম মুহূর্ত থেকে তোলবাজ ভাইপো হটাও স্লোগান তুলেছেন শুভেন্দু। আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও তুই তোকারি করে সম্মোধন করেছেন, কখনও নাম না করে বলেছেন যা তোর বাপকে ডেকে নিয়ে আয়। এদিন আবার ফোর টোয়েন্টি বলেছেন শুভেন্দুকে।
এদিন অভিষেক একটি চিঠি দেখান। গত পরশু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাকিস্তানের জাতীয় দিবস উপলক্ষে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। তাতে পাকিস্তানের নাগরিকদের সঙ্গে ভারত সুসম্পর্ক রেখে চলায় আগ্রহী বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে এও স্পষ্ট বলেছিল, সে তবে সন্ত্রাস ও বৈরীতা কাটিয়ে আস্থার পরিবেশ তৈরি করা জরুরি। ইমরানকে লেখা মোদীর ওই চিঠি হাতে অভিষেক বলেন, যারা আমাদের সেনাদের মারে সেই পাকিস্তানকে চিঠি লিখে নরেন্দ্র মোদী বলছেন বন্ধুত্ব করতে চান। আর এরা এখানে ইন্ডিয়া-পাকিস্তান করছে।
ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ আরও বলেন, “এখন সারা দিন মন্দিরে মন্দিরে ঘুরছে। যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তাকে ভগবানও ক্ষমা করবে না। যতই মন্দিরে মাথা ঠোকো। বিশ্বাসঘাতকদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। ২ মে-র পর আর বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না।”