দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে চাপে রাখার কৌশল শুরু করে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতির অলিন্দে। কারণ দিল্লি পৌঁছেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমেই সাক্ষাৎ করেছেন প্রাক্তন সাংবাদিক বিনীত নারাইনের সঙ্গে।
এই বিনীত নারাইনকেই জৈন হাওয়ালা মামলায় ধনকড়ের বিরুদ্ধে পাশে পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রথমে অভিযোগ করেন, জৈন হাওয়ালা মামলায় অভিযুক্ত ধনকড়। মামলার নথিতে তাঁর নাম রয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন ধনকড়। জানিয়েছিলেন, তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছিলেন।
তবে ধনকড়ের বক্তব্যের বিরোধিতা করেন এই বিনীত নারাইন। তিনি সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকে প্রশ্ন করেন, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে চলা জৈন হাওয়ালা মামলার অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ তিনি ধনকড় দিতে পারবেন?
শোনা যাচ্ছে, মমতার দিল্লি পৌঁছনোর পর তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিনীত। একে অপরের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। তারপর দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক হয়। তবে বৈঠকের আলোচনা প্রসঙ্গে জানা যায়নি।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই বৈঠক রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ধনকড় বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলে বারবার অভিযোগ করে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রকৃত অর্থেই রাজ্যপাল বারবার সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যের সঙ্গে। যা নিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিপাকে পড়তে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে।
অনেকে এও বলছেন, বিনীত নারাইনের কাছ থেকে ধনকড় সম্পর্কে তথ্য প্রমাণ জোগাড় করার প্রক্রিয়াও আজকের বৈঠক থেকে চালু করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই সম্পর্কে তৃণমূলের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
হাওয়ালা-কাণ্ড ফের সামনে আনার জন্য ভিডিয়ো-বার্তায় মমতাকে ধন্যবাদও জানান বিনীত। তিনি বলেন, ‘‘১৯৯৩ সাল থেকে আমি এই মামলা লড়ছি। হাওয়ালা-কাণ্ড শুধু দুর্নীতির বিষয় নয়, এর সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির অর্থের জোগানও জড়িত।’’ এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে মমতা-বিনীত সাক্ষাৎ ঘিরে ফের সোমবার আলোচনায় চলে এসেছে হাওয়ালা-কাণ্ডে ‘ধনখড়-যোগের’ প্রসঙ্গ।