দেশেরসময় ওয়েবডেস্ক: নিষিদ্ধপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়ার আগেই দিল্লি পুলিশ উদ্ধার করে বাংলাদেশের এক কিশোরিকে৷ দিল্লি থেকে উদ্ধার করে নিজের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে আসা ওই কিশোরীকে, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। জানা গেছে, গত জুন মাসে এক দালালের হাত ধরে সে চোরাপথে ভারতে চলে এসেছিল। এরপর ট্রেনে করে তাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। উদ্দেশ্য ছিল, নিষিদ্ধপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়ার। তার আগেই অবশ্য ৪ জুন নিউ দিল্লির আইজিআই এয়ারপোর্ট থানার পুলিস তাকে উদ্ধার করে। বিপদ বুঝে আগে থেকেই পালিয়ে যায় ওই দালালরা। পরদিন ওই বাংলাদেশি নাবালিকাকে দিল্লির চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সামনে হাজির করা হয়। কমিটি নাবালিকাকে চিলড্রেন হোম ফর গার্লসের ‘নির্মল ছায়া’ হোমে রাখার নির্দেশ দেয়। এরপর তার আশ্রয় হয় ওই হোমে। বছর ১৪–র ওই নাবালিকার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার সদর লালমুনিরহাটে। নাবালিকার কাছ থেকে পাওয়া নম্বরে নাবালিকার মাকে ফোন করেন হোম কর্তৃপক্ষ। কথাও হয়। নাবালিকার মা জানান, আলো তাঁদের হারিয়ে যাওয়া মেয়ে। হোম কর্তৃপক্ষ এরপর নাবালিকার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নাবালিকাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করে। দূতাবাস কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে সমস্ত খোঁজ নিয়ে ওই নাবালিকাকে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে। পেট্রাপোল সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দা সন্তু দাস জানান, এই সীমান্তের তের ঘর এলাকা দিয়ে, প্রায় সময় এই ধরনের নারী পাচার হয়ে থাকে বিএসএফ সব দেখে শুনেও চুপ থাকে কেন সেটাই দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দঁড়িয়েছে। বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ এই বিষয়ে জানান নারী পাচার পেট্রাপোল সীমান্তের একটা বড় রোগের আকার ধারন করেছে,বিশেষ করে তের ঘর এলাকাতে বিএসএফ এর নজড়দারিতে গাফিলতি থাকাতেই এই পথ দিয়ে নারী পাচার বেড়েচলেছে বলে জানাযাচ্ছে। আমরা প্রশাসন কে আরও বেশি করে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছি এবং সেই সাথে তের ঘর এর স্থানীয় বাসিন্দাদের কে নিয়ে খুব শীঘ্র নারীপাচার বন্ধ করার উদ্যোগে একটি আলোচনা সভার ব্যাবস্থা করা হচ্ছে, এই উদ্যোগে সামিল হচ্ছে স্থানীয় বিভূতি ভূষণ বিএড কলেজের ছাত্র ছাত্রী সহ প্রশাসন।