দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বৈঠকে যোগ দেবেন শোভন!

0
2641

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বিজেপির দূরত্ব কি কাটতে চলেছে?বুধবার সন্ধেবেলা কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের ঘনিষ্ঠরা যা বলছেন তাতে তেমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকে। বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতারা আপাতত দিল্লিতে রয়েছেন। আজ ২২ জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক শুরু হয়েছে। সপ্তাহভর দফায় দফায় সেই বৈঠক চলবে। জানা গিয়েছে, ২৩-২৮ জুলাইয়ের মধ্যে দিল্লি যেতে পারেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে থাকার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছেন বেহালা পূর্বের বিধায়ক।

তবে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেননদের শোভনবাবু এও জানিয়েছেন, তাঁর সিওপিডির সমস্যা রয়েছে। যদি কোনও কারণে ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে তিনি দিল্লি না যেতে পারেন তাহলে ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিতে চান তিনি। সূত্রের খবর, বিজেপি চাইছে সক্রিয় হন শোভন। তাতে দিল্লিতে সশরীরে না যেতে পারলেও ক্ষতি নেই। ভার্চুয়াল বৈঠকে থাকলেও হবে।

এ ব্যাপারে শোভনের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দলের সঙ্গে তো আমাদের কোনওদিনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ ছিলই। এটা কোনও বিক্ষিপ্ত ঘটনা নয়।”

কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফে বাংলার মূল পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দুই সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন এবং শিবপ্রকাশ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ দিনে বাংলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা ও অমিত শাহ। গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদেরও দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে জেলা ধরে আসনভিত্তিক পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনার জন্যই এই ম্যারাথন বৈঠকের আয়োজন। কোন জেলার কোন আসনে কতটা শক্তি, কী দুর্বলতা সেসবেরই ময়নাতদন্ত হবে এই বৈঠকে। তারপর আসন ধরে তৈরি হবে সংগঠন ঢেলে সাজার কাজ।

গত বছর ১৪ অগস্ট বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শোভন বৈশাখী। গিয়ে দেখেছিলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি দফতরে বসে রয়েছেন রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়। কিন্তু দেবশ্রীকে দেখেই বেঁকে বসেন শোভন ও তাঁর বান্ধবী। বিজেপি নেতাদের জানিয়ে দেন, উনি যোগ দিলে তাঁরা নেই। এরপর দেবশ্রীকে বুঝিয়েসুঝিয়ে বাড়ি পাঠান বিজেপি নেতারা। শেষমেশ পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নেন শোভন-বৈশাখী।

কিন্তু তারপর থেকে একাধিকবার সংঘাত হয়েছে বিজেপি ও শোভনদের। কোনও কর্মসূচিতেই যোগ দেননি তাঁরা। উল্টে ভাইফোঁটার দিন দিদির বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন শোভন। সঙ্গে ছিলেন বান্ধবী বৈশাখীও।

এখন দেখার, একুশের বিধানসভার আগে ফের রাজনীতির ময়দানে সক্রিয় হন কিনা শোভন।

Previous articleবিশ্ব ধনীর তালিকায় ৫ নম্বরে রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানি
Next articleঘাঁটি গেড়ে রয়েছে ৪০ হাজার লাল ফৌজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here