দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ ধনকুবেরের এলিট ক্লাবে ঢুকে পড়লেন মুকেশ আম্বানি। গত সপ্তাহেই তিনি ছিলেন ৬ নম্বরে। এবার চলে গেলেন ৫ নম্বরে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ আর লকডাউনের মারে বিশ্ব অর্থনীতি যখন ধুঁকছে, তখন একের পর এক সম্পত্তি বৃদ্ধির নজির গড়ে চলেছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। আর তার জেরেই একের পর এক নতুন পালক তাঁর মুকুটে। সম্পদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙে চলেছেন। এশিয়ার এক নম্বর ধনী হলেও মাস খানেক আগেও তিনি বিশ্বের তালিকায় ৯ নম্বরে ছিলেন। সেখান থেকে এখন ৫ নম্বরে।

মুকেশ আম্বানির বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ৭ হাজার ৪৬০ কোটি মার্কিন ডলার৷ ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ কোটি টাকার সমান। গত সপ্তাহেই গুগল-এর কর্ণধার সের্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেজকেও ছাড়িয়ে যান রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ-এর চেয়ারম্যান। পান ষষ্ঠ স্থান। এবার টপকালেন বার্থসায়ার হাথওয়ের সিইও ওয়ারেন বাফেটকে।

ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, শীর্ষে রয়েছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। এর পরেই দু’নম্বরে রয়েছেন মাইক্রোসফ্টের বিল গেটস। তিনে বার্নার্ড অর্নল্ট পরিবার আর চার নম্বরে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ। এর পরের নামটাই মুকেশ আম্বানি।

সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, গত এক মাসে যে হারে আম্বানির সম্পত্তি বেড়েছে তা এককথায় অবিশ্বাস্য। গত এপ্রিল থেকে রিলায়েন্স জিও-তে একের পর এক বিদেশি বিনিয়োগ আসছে৷ যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ফেসবুক। ফেসবুকের সঙ্গে রিলায়েন্স জিও’র রেকর্ড অর্থের চুক্তির পরেই এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির তকমা পান মুকেশ আম্বানি। রেকর্ড ৪৩,৫৭৪ কোটি টাকার বিনিময়ে ফেসবুক রিলায়েন্স জিও’র ৯.৯ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয়। জিও প্ল্যাটফর্মে সম্প্রতি ৭৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছে মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা কোয়ালকম ভেঞ্চার্স৷ একের পর এক বিদেশি বিনিয়োগের ফলে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এখন সম্পূর্ণ ঋণমুক্ত একটি সংস্থা৷ মুকেশ আম্বানির টার্গেট ছিল ২০২১ সালের মার্চের মধ্যে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ঋণমুক্ত হয়ে যাবে৷ তার অনেক আগেই সংস্থার সব ঋণ শেষ৷ তার জেরে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ-এর উপরে শেয়ার লগ্নিকারীদের আস্থাও বেড়ে গিয়েছে৷ ফলে দিন দিন বাড়ছে মোট সম্পত্তির পরিমাণ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here