দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ একদিকে যখন দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী, অন্যদিকে তখন বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে উত্তরবঙ্গে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং, কালিম্পং-এ বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উত্তর পার্বত্য অঞ্চলে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ভ্রুকুটি দেখা দিয়েছে। এর জেরেই সমগ্র উত্তর ভারতজুড়ে আবহাওয়া পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, উত্তর পার্বত্য অঞ্চলের বিস্তীর্ণ অংশে বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে নেপাল, সিকিম, দার্জিলিং, কালিম্পং, অসম, অরুণাচলপ্রদেশ এবং ভুটানে। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ রাজ্যের পশ্চিমাংশে। কলকাতায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বলেই জানা গিয়েছে।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখীই থাকবে। সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণও বেশি থাকবে। ফলে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকেই গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা শহরবাসীর। দিনের বেলা, এমনকী সন্ধ্যাতেও ফ্যান-এসি চলছে অধিকাংশ ঘরে। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির আশপাশেই ঘোরাফেরা করবে। কলকাতায় আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯৯ শতাংশ, ন্যূনতম ৩৫ শতাংশ।
সরস্বতী পুজোর সকালে হালকা কুয়াশা থাকলেও, দিনভর আকাশ পরিষ্কার থাকারই ইঙ্গিত দিয়েছে হাওয়া অফিস। আর তাই শীতকে বিদায় জানিয়েই ঘরে ঘরে বাগদেবীর বন্দনায় সামিল হয়েছে তিলোত্তমাবাসী।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির শুরুতেই একেবারে স্বমহিমায় দেখা যায় শীতকে। বিগত ১০ বছরে এটাই ছিল শীতলতম ফেব্রুয়ারি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস জানিয়েছিলেন, এই পরিস্থিতি বিরল, কিন্তু আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেও জমিয়ে শীত উপভোগ করেছিলেন বাংলার মানুষ।