দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। সেই থেকে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সোমবার দেখা গেল বালুকে উত্তর ২৪ পরগনার সংগঠন থেকে বাদ দিয়েছে তৃণমূল।
এমনিতেই উত্তর ২৪ পরগনা রাজ্যের সবচেয়ে বড় জেলা। সেই জেলাকে সাংগঠনিক ভাবে ঢেলে সেজেছে তৃণমূল। চারটি সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করা হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনাকে। ব্যারাকপুর-দমদম সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি করা হয়েছে পার্থ ভৌমিককে। তিনি নৈহাটির বিধায়ক। বারাসত জেলা সাংগঠনিক কমিটির সভানেত্রী করা হয়েছে আশানি মুখোপাধ্যায়কে। বসিরহাট জেলার সভাপতি হয়েছেন সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়। বনগাঁর জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আলোরানি সরকারকে।
দেখা যাচ্ছে, যে চারটি সাংগঠনিক জেলা কমিটি গরা হয়েছে এবং সেখানে যাঁদের সভাপতি করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে দু’জন মহিলা।
তবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুকে সংগঠন থেকে সরিয়ে দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বলেই মত অনেকের। আবার অনেকে বলছেন, এটাই স্বাভাবিক ছিল। কেননা নতুন নেতৃত্ব এলে তবেই সংগঠনে সজীবতা ফেরে। সেটাই করেছে তৃণমূল।
বালু রাজ্যের মন্ত্রী। এক ব্যক্তি এক পদ নীতি কার্যকর হলে যে তাঁর পদ যাবেই তা এক প্রকার ঠিকই ছিল। এদিন সেটাই আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করল তৃণমূল।
জেলাগুলিকে সাংগঠনিক ভাবে ভেঙেও নেতৃত্ব স্তরে সংখ্যা বাড়িয়েছে তৃণমূল। খানিকটা বিজেপির ধাঁচেই জেলা সাংগঠনিক কমিটিগুলি করেছে বাংলার শাসকদল।