তৃণমূলের সব্যসাচী কাঁটায় ১ ডজন কান্ড, মুকুলের হাত কতটা, জানুন!

0
1001

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সব্যসাচী দত্ত বনাম তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই ক্রমশই জমে উঠেছে। সব্যসাচীর বক্তব্য, দল পারলে তাড়িয়ে দিক। তৃণমূলের বক্তব্য, সব্য চাইলে চলে যাক। সেই মুকুল রায়ের লুচি-আলুরদম পর্ব থেকে রবিবার রাতের ডিনার– মাঝে ঘটে গেছে অনেক কাণ্ড। দেখে নিন এক নজরে।

৮ মার্চ, ২০১৯

সব্যসাচী দত্তর সল্টলেকের বাড়িতে আচমকা মুকুল রায়। লুচি-আলুরদম খেলেন বিজেপি নেতা। দু’জনেরই দাবি ছিল, এটা নিছক আড্ডা। কিন্তু তাতেই তৈরি হয় নানা রাজনৈতিক জল্পনা।

৯ মার্চ, ২০১৯

সেদিন ছিল শনিবার। সন্ধ্যায় পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দেশ দেন, পরের দিন রবিবারই শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে বিকেল ৩টেয় তৃণমূল কংগ্রেসের বিধাননগরের সব কাউন্সিলারদের নিয়ে যেন মিটিং ডাকা হয়।

১০ মার্চ, ২০১৯ (সকাল)

রবিবার সকালে দোলা সেনকে নিয়ে দিদির বাড়িতে গেলেন সব্যাসাচী। কিন্তু দেখা করেননি মমতা।

১০ মার্চ, ২০১৯ (বিকেল)

আমন্ত্রণ ছাড়াই বৈঠকে সব্যসাচী। সব উত্তেজনার সাময়িক অবসান। বিধাননগরের মেয়র পদে থাকছেন সব্যসাচী দত্তই। শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে জানায় তৃণমূল নেতৃত্ব।

২৮ মার্চ, ২০১৯

দোলের দিনে ফের গেরুয়া-জল্পনা উস্কে দিলেন সব্যসাচী দত্ত। তাঁর গলায় শোনা গেল, “জয় ভারত। ভারত মাতা কী জয়!” সব্যাসাচী সেদিন আরও বলেন, “মেয়র থাকলাম কি থাকলাম না, বিধায়ক থাকলাম কি থাকলাম না বড় কথা নয়। আমি মানুষের মধ্যে থাকতে চাই।”

৩০ মে, ২০১৯

কুণাল ঘোষের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক। কদিন আগেই সব্যসাচীর ওয়ার্ড অফিসে বসে ‘নবজাগরণ’ নামে সংগঠন গড়েন প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষ-সহ কয়েকজন।

১০ জুন, ২০১৯

বোর্ড মিটিং ডাকা হয়েছিল বিধাননগর কর্পোরেশনের সদর দফতরে। কিন্তু সেখানে উপস্থিতই হলেন না মেয়র সব্যসাচী দত্ত-সহ ২৫ কাউন্সিলর।

১৩ জুন, ২০১৯

সব্যসাচী দত্ত রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, দল ক্ষমতা থাকলে তাঁকে তাড়িয়ে দেখাক। মমতা বললেন, “কেউ চাইলে দলে ছেড়ে চলে যাক। আমরা তাড়াব না।”

১৮ জুন, ২০১৯

নজরুল মঞ্চে বক্তৃতা শেষ করে মঞ্চ থেকে নামার সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব্যসাচী দত্তকে দেখে বলেন, এই তুই তৃণমূলে আছিস কেন? বিজেপি-তে চলে যা!

২৮ জুন, ২০১৯

বিধানসভায় রাখা বক্তব্যে বিজেপিকে রুখতে বাম ও কংগ্রেসের সমর্থন চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্টো সুরে সব্যসাচী দত্ত বলেন, “আমি বাম কংগ্রেসকে পাশে মোটেই চাইছি না। আমি কংগ্রেস ছিলাম, কংগ্রেস আছি কিন্তু বামের হাত ধরে রাম হওয়ার মানসিকতা আমার নেই।”

৫ জুলাই, ২০১৯

আইএনটিটিইউসি-র বিক্ষোভ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সল্টলেকের বিদ্যুৎ ভবন। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন সব্যসাচী দত্ত। বিদ্যুৎ ভবনের ভিতরে ঢুকে মাটিতে বসে বিক্ষোভ দেখান।

সব্যসাচী দত্ত বিদ্যুৎ কর্মীদের প্রাপ্য ডিএ-র দাবিতে ধর্নায় বসেন। প্রশ্ন ওঠে, শাসকদলের বিধায়ক হয়ে তিনি কী ভাবে এই আন্দোলনে সামিল হচ্ছেন। জবাবে সব্যসাচী বলেন, “ডিএ চাওয়া ভিক্ষা বা সাহায্য চাওয়া নয়।”

৭ জুলাই, ২০১৯

বিধাননগরের কাউন্সিলারদের সঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের বৈঠক। তাপস চট্টোপাধ্যায়কে মেয়রের কাজ সামলানোর দায়িত্ব। রাতে মুকুল রায়ের সঙ্গে ডিনার-বৈঠক ফের দলকে চ্যালেঞ্জ।

Previous articleবনগাঁ পুলিশ জেলার উদ্যোগে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি পালন
Next articleবনগাঁ মুখ্য ডাকঘর এর পরিষেবায় বীতশ্রদ্ধ গ্রাহকেরা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here