তিনগুণ শক্তি নিয়ে ওড়িশার গোপালপুরে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় তিতলি। তিব্রতা এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে অন্ধ্রে দাপিয়ে বেড়াল। এরই মধ্যে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ওড়িশায় দু’জন। তিন মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। উত্তাল সমুদ্রে তাঁদের খোঁজে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ঘণ্টায় ১৬৫ কিলোমিটার বেগে বইছে ঝড়।
ওড়িশা এবং অন্ধ্রের একাধিক জায়গায় গাছ উপরে পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তীব্র ঝড়ের সঙ্গে চলছে প্রচণ্ড বৃষ্টি। উদ্ধারকারীরা এখনও পর্যন্ত কাজ শুরু করতে পারেননি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিতলির রেশ এসে পড়বে পশ্চিমবঙ্গেও। আগে থেকেই উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দিঘার সমুদ্রে বিকেল থেকে জলোচ্ছ্বাস বেড়েছে। শুরু হয়েছে বৃষ্টিও। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিতলির দাপটে নষ্ট হয়ে গিয়েছে অন্ধ্রের ৩০০০ একর বন্যাঞ্চল। প্রায় হাজার একর জমির ফসল ধুলিসাৎ হয়েছে। বিজয়নগরের জেলা শাসক হরি জয়সোয়াল জানিয়েছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
শ্রীকাকুলাম জেলার প্রশাসনিক প্রধান কে ধনঞ্জয় রেড্ডি জানিয়েছেন, ৬০০০ থেকে ৭০০০ বিদ্যুতের খুঁটি উপরে গিয়েছে। চার লাখ থেকে পাঁচ লাখ মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় বসবাস করছেন। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আজ রাত থেকেই বৃষ্টি বাড়বে। সেই প্রকোপ চলবে আগামী দু’দিন। অর্থাৎ ১২ এবং ১৩ তারিখ বৃষ্টি চলবে। দু’এক জায়গায় ভারী বৃষ্টি হবে। যত পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগিয়ে আসবে ততই বৃষ্টি বাড়বে।
পাশাপাশি, উপকূলবর্তী জেলা মূলত দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি হবে। উপকূলবর্তী জেলার ওপর ৪৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে।
সমুদ্র উত্তাল থাকার জন্য মৎস্যজীবীদের ১৩ তারিখ পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে।