দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ একদিকে করোনার বাড়বাড়ন্ত, অপরদিকে তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা বঙ্গবাসীর। বুধবার কলকাতা শহরের তাপমাত্রা পৌঁছল ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে । যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আরও চরমে পৌঁছবে গরম। তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪০ ডিগ্রি। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
শুষ্ক আবহাওয়ার জেরে অস্বস্তি ক্রমশই বাড়ছে বাংলায়। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণও অত্যধিক বেড়েছে। বুধবার আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৮৯ শতাংশ। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারের পর থেকেই তাপমাত্রা ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী হবে বলে সতর্ক করেছিল হাওয়া অফিস। সেই মতো শুক্রবার ৩০ ডিগ্রির আশপাশে থাকার পর রবিবার তা এক ধাক্কায় উঠে যায় প্রায় ৩৯ ডিগ্রিতে। সোমবার তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৩৯.৭ ডিগ্রিতে। বুধবার খানিকটা কমলেও তীব্র দাবদাহ অনুভূত হচ্ছে শহরে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আরও বাড়বে তাপমাত্রার পারদ। সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও। বেশ কয়েকটি জেলা তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪০ ডিগ্রিও। আগামী সাত থেকে আট দিন গরমে নাজেহাল হতে হবে সাধারণ মানুষকে জানা গিয়েছে এমনটাই।
আলিপুর আবহওয়া দফতর সূত্রে খবর, জারি থাকবে তাপপ্রবাহ। এই সপ্তাহে সম্ভবনা নেই বৃষ্টিপাতের। কিন্তু স্বস্তি ফিরতে পারে মে মাসের শুরুতেই। আগামী মাসের প্রথমের দিকেই মুর্শিাবাদ, বাঁকুড়া , বীরভূম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে, এই জেলাগুলিতে রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। পূবালী বায়ু সক্রিয় হওয়ায় খানিকটা নিম্নমুখী হবে তাপমাত্রা। অন্যদিকে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এই জেলাগুলিতে। তবে কালবৈশাখীর কোনও পূ্র্বাভাস দিচ্ছেন না আবহাওয়াবিদরা।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কালবৈশাখী হয়েছে। যার জেরে সাময়িক স্বস্তি মিলেছিল। কিন্তু, সেই স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। যদিও এ বছর বর্ষা স্বাভাবিক হবে বলেই আশার বাণী শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর।