দেশের সময়, ওয়েব ডেস্ক:- “দেশভাগ করার রাজনীতি শুরু হয়েছে”। “চলছে ষড়যন্ত্র”। “আর তা করছে বিজেপি–আরএসএস”। “আমাদের উচিৎ জোটবদ্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা”। সিপিআই-এর ৯৪তম প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতার রানী রাসমনি অ্যাভিনিউয়ের সভা থেকে এই ভাষাতেই বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন জেএনইউ-র তরুণ তুর্কি নেতা কানহাইয়া কুমার। বুধবার কলকাতা-র সভামঞ্চ থেকে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার বলেন, “ভারতকে আবার ভাগ করার রাজনীতি শুরু হয়েছে”। “আরএসএস– বিজেপি সেই রাজনীতি শুরু করেছে”। “ভাবতে হবে এর পিছনের ষড়যন্ত্রটা কি”?‌ “নরেন্দ্র মোদি যা করেছে তার বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়তে হবে”। “আর এটাই সঠিক পথ”। “দেশে বিভাজনের রাজনীতি হচ্ছে”। “তাই গণতন্ত্রকে বাঁচানো আমাদের কাজ”। “বাংলায় আরএসএস শক্তি বাড়াচ্ছে”। “আসলে ওরা ধর্মকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসতে চায়”।‌ “বিজেপিকে ঠেকাতে জোটের প্রয়োজন প্রথম অনুভব করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী”। আর এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে এদিন সেই পথটাই সঠিক বলে দলের নেতা–কর্মীদের কার্যত বুঝিয়ে দিলেন কানহাইয়া বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। বিজেপি বাংলায় বিভাজন করতে চাইছে বলে তুলোধনা করেন কানহাইয়া। তাঁর দাবি, “‌বাংলার ও বাংলা ভাষার ইতিহাসকে বিভাজন করতে চাইছে বিজেপি”। “আজ কেন হিন্দু–মুসলমান করা হচ্ছে”?‌ “আসলে ধর্মকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসতে চায় বিজেপি”। “আমাদের সংবিধানে ধর্মের নামে বিভাজনের স্থান নেই”। “তাই যেভাবেই হোক মোদিকে হারাতে হবে”। “পশ্চিমবঙ্গ বিবিধ সংস্কৃতির মিলন ভূমি”। “এটা ভাগ করতে দেওয়া যাবে না”। “দেশের সংবিধান ও মানুষ বিপদের মধ্যে রয়েছেন। তাঁদের বাঁচাতে হবে”।
বামফ্রন্টের মধ্যেও অনেক মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। তা নিয়ে ফ্রন্টের মধ্যে আকচা আকচিও আছে। কংগ্রেসের সঙ্গে যাবে নাকি যাবে না, এই নিয়ে অভ্যন্তরীণ সমস্যা রয়েছে। যা নির্বাচনে বিপদ ডেকে আনতে পারে। এই পরিস্থিতি অনুভব করে কানহাইয়া বলেন, “বামফ্রন্ট মজবুত না হলে বাংলাকে অনেক বিপদের মধ্যে পড়তে হবে”। “এই কথা আমাকে বলেছিলেন প্রয়াত দলের রাজ্য সম্পাদক প্রবোধ পাণ্ডা”। “বামফ্রন্টের মধ্যে ফরওয়ার্ড ব্লকও আছে”। “যাঁরা নেতাজির আদর্শ নিয়ে চলেন”। “এখন বিজেপি নেতাজিকে নিয়েও রাজনীতি করতে চাইছে”। “তবে এসবের লক্ষ্য হল নির্বাচনে জয়লাভ”। “তাই বামফ্রন্টকে মজবুত ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে”।‌ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কিছু সমালোচনা করলেও তাঁর দেখানো পথ ফেডারাল ফ্রন্ট বা আঞ্চলিক দলগুলির মহাজোটের পথকেই সঠিক বলে মনে করেছেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here