দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ নিজের প্রোফাইল পিকচারের ক্যাপশনে একটি শব্দ। তা ঘিরে রাজনৈতিক জল্পনায় চলে এলেন তৃণমূলনেতা মদন মিত্র। প্রোফাইল পিকচারে তিনি টাইম ফর প্যাক-আপ নামে একটি ক্যাপশন দেন। আচমকা এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা প্যাক-আপ বলতে ঠিক কী ইঙ্গিত করতে চাইছেন, সেই উত্তর খুঁজতে থাকেন সকলে। সেই উত্তর এদিন ফেসবুক লাইভে এসে দিলেন তিনি। সেইসঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণ একের পর এক মন্তব্যে বাড়ালেন জল্পনা। কার্যত শুভেন্দুর স্টাইলে তিনি বললেন, আমিও কিন্তু জাহাজেও চড়িনি, আর চপারেও চড়িনি। আমিও পায়ে হেঁটে এসেছি।
কী বললেন মদন মিত্র:
এদিন মদন মিত্র বলেন, “বাংলায় নাকি এখন অনেক ক্ষমতাশালী নেতা মন্ত্রী, অনেকের দেখছি প্রচুর জনপ্রিয়তা। এতে আমি খুব খুশি। কারোর কোনও জনপ্রিয়তা হলে খুশি হবই। কিন্তু আমি তাদের একটা কথা বলি, আমি মদন মিত্র মন্ত্রী ছিলাম, ২০১৩-২০১৪ সালে। এটা ২০২০ সাল। আজকে যারা খুব জনপ্রিয় তাদের বলব, এই মন্ত্রিত্ব ছেড়ে আর ক্ষমতা ছেড়ে ৬ বছর পরে আমার সঙ্গে দেখা করবেন। আমি একবার জনপ্রিয়তাটা মেপে নেব। সমজদার কে লিয়ে ইশারাই কাফি হে। যখন আমি মন্ত্রী হয়েছিলাম, যখন বিরাট ব্যবধানে ভোটে জিতেছিলাম তখন এতো ফোন পাইনি। কিন্তু কাল থেকে এতো ফোন আসছে কেন বুঝতে পারছি না। প্রায় কয়েক হাজার ফোন এসেছে। সবার মুখে একই কথা প্যাক-আপ বিষয়টা কী। আচ্ছা আপনারা ব্যাক-আপ বোঝেন,প্যাক-আপ বোঝেন না। এই প্যাক-আপ মানে নতুন লড়াইয়ের জন্য তৈরি হওয়ার ডাক৷
এর সঙ্গে তিনি এও বলেন, “আমিও কিন্তু জাহাজেও চড়িনি, আর চপারেও চড়িনি। আমিও পায়ে হেঁটে এসেছি। কয়েকজনের লাভ তো নিশ্চয়ই হতে পারে। যার যা রাগ রয়েছে, মিটিয়ে নিন। কতদূর কে জেতে পারেন, ভগবানের সামনে আমিও বলে গেলাম। মদন মিত্র মরে যাবে। কিন্তু মদন মিত্র চুহা মেরে হাত গন্ধ করব না। স্টেটাস বদলে যেতে পারে, স্টোরি বদলে যেতে পারে, কিন্তু ক্যারেক্টার বদলাবে না। আগামী দিন প্রমাণ হবে। আজকে আমায় যা দিয়েছে, সব তৃণমূল কংগ্রেস দিয়েছে, কামারহাটি দিয়েছে। আমাকে কিন্তু দল তাড়িয়ে দেয়নি। দল আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে।
সব শেষে তিনি বললেন, “প্যাক আপের দিকে নজর রাখবেন, প্যাক আপের পরে খেলোয়ার কোথায় যাচ্ছে সেটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ!