দেশের সময়ওয়েবডেস্ক: ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে মঙ্গলবার নারদ কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত পুলিশ কর্তা এসএমএইচ মির্জাকে তোলা হয়েছিল বিশেষ ন্সিবিআই আদালতে। কিন্তু এ দিনও তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
এ দিন মির্জার আইনজীবী আদালতে জামিনের আবেদন করতে গিয়ে বলেন, তাঁর মক্কেল তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করেছেন। এবং শেষ ১৪ দিনে তদন্ত প্রক্রিয়ায় তাঁকে কোনও ভাবেই কাজে লাগেনি। তাই মির্জাকে যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক।
আপত্তি জানানো হয় সিবিআইয়ের তরফে। কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সির তরফে স্পষ্ট বলা হয়, মির্জাকে এখন বাইরে রাখলে তদন্তে তার প্রভাব পড়বে। তিনি প্রভাবশালী। এই নারদ কাণ্ডে যে বড় রাজনৈতিক যোগ রয়েছে, তাও এ দিন বলা হয় সিবিআইয়ের তরফে। শেষমেশ জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় মির্জাকে। অবিভক্ত বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশ সুপারকে গ্রেফতারের পর থেকেই ‘ঝিমিয়ে পড়া’ নারদ তদন্তে নতুন গতির সঞ্চার হয়। সিবিআই তলব করে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে। শনিবার, মহালয়ার দুপুরে নিজাম প্যালেসে মির্জা-মুকুলকে মুখোমুখি বসিয়ে প্রায় তিনঘণ্টা জেরা করেন গোয়েন্দারা। রবিবার আরও নাটকীয় মোড় নেয় তদন্ত। মির্জাকে নিয়ে সিবিআই টিম পৌঁছে যায় মুকুলবাবুর এলগিন রোডের ফ্ল্যাটে। সেখানে ‘টাকা লেনদেনের’ পুনর্নির্মাণ করানো হয় এই আইপিএস অফিসারকে দিয়ে। গোটা ঘটনার ভিডিওগ্রাফি করে সিবিআই।
২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের কিছু সাংসদ ও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্টিং অপারেশন চালিয়েছিলেন নারদ নিউজের কর্ণধার ম্যাথু স্যামুয়েল। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছাড়া একমাত্র পুলিশ কর্তা এসএমএইচ মির্জার বিরুদ্ধে স্টিং অপারেশন চালিয়েছিলেন ম্যাথু। পরে বিজেপি-র প্রকাশ করা ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, নিজের বাংলোর বৈঠকখানায় বসে লুকোনো ক্যামেরার সামনে টাকা নিচ্ছেন মির্জা। প্রসঙ্গত, মির্জা শাসক দলের শীর্ষ স্তরের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন। এর মাঝে ম্যাথুকেও ডেকে জেরা করেছেন গোয়েন্দারা।