দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা। তারপরই নতুন সালের আগমন ঘটবে। বিশ সালের বিষময় বছরকে বিদায় জানাতে সারা বিশ্বই সেই শুভ মুহূর্তের অপেক্ষায় রয়েছে।

‘দাওয়াই ভি অউর কড়াই ভি’, একুশ সালে দেশের মন্ত্র হতে চলেছে এটাই। রাজকোট এইমসের শিল্যান্যাস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, টিকাকরণের চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে দেশে। আর কিছুদিনের মধ্যেই ভ্যাকসিনের বিতরণ শুরু হয়ে যাবে। তবে ভ্যাকসিন চলে এলেও সতর্কতায় কোনও ঢিলেমি হবে না। প্রতিষেধক যেমন থাকবে তেমনি সমান তালে থাকবে কড়াকড়িও।
সারা দেশে করোনা টিকার যাতে সমবন্টন হয় সেজন্য সবরকম প্রস্তুতি চলছে, জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, দেশে শুধু নয় সারা বিশ্বে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার বৃহত্তর কর্মসূচীতে রয়েছে ভারত। সংহতির সঙ্গে একজোট হয়ে অতিমহামারীর মোকাবিলা করবে দেশ।

২০২১-এর প্রথম দিনেই আসতে পারে ভারতে করোনা ভ্যাকসিন ব্যবহারের ছাড়পত্র। চলতি করোনা-বছরের একেবারে শেষ পর্বে পৌঁছে নববর্ষের জন্য তেমনই সুখবরের ইঙ্গিত। বৃহস্পতিবার রাজকোট এইমসের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আগে আমি বলতাম, যতক্ষণ না ওষুধ আসছে ততক্ষণ কোনও ঢিলেমি নয়। কিন্তু এখন আমার মন্ত্র হল, ওষুধও দরকার আবার কড়া সতর্কতাও।’

ভ্যাকসিন চলে আসার পরেও একই রকম সতর্কতা দরকার। ঠিক যেভাবে কোভিড প্রোটোকল মেনে এতদিন একজোট হয়ে দেশবাসী করোনা মহামারীর মোকাবিলা করেছে, পরবর্তীকালেও এমনই ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস এই স্বাস্থ্য সঙ্কট থেকে রেহাই দেবে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বুধবারই অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রা-জেনিকার তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন ব্রিটেনে জরুরি ভিত্তিতে বাজারজাত করার অনুমতি পেয়েছে। স্বাস্থ্য মহলের আশা, অচিরেই এই প্রতিষেধকটি (যা এ দেশে উৎপাদন করছে সিরাম) ভারতেও কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ামক সংস্থার ছাড়পত্র পেয়ে যাবে। কেননা, ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া কিছু দিন আগেই জানিয়েছিল, আপৎকালীন ব্যবহারের অনুমতি কোনও ভ্যাকসিন পৃথিবীর যে কোনও দেশে মিললে, সেই ভ্যাকসিনের এ দেশেও ইমার্জেন্সি ইউজ অথরাইজেশন সংক্রান্ত সবুজ সঙ্কেত মেলার রাস্তা চওড়া হয়ে যাবে।

কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের এ দেশে আত্মপ্রকাশ করা এখন সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা, শুধুমাত্র ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সন্তোষজনক ফলাফলই নয়, আরও কয়েকটি ইতিবাচক দিক রয়েছে এদের, যা ভারতীয় আর্থসামাজিক কাঠামো ও স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপযোগী। এই দু’টি ভ্যাকসিনের দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে থাকবে বলেই আশাবাদী সংশ্লিষ্ট মহল।

সব দিক খতিয়ে দেখে, নতুন বছরের প্রথম দিনেই ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বহু প্রতীক্ষিত ঘোষণার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকেই। এমনই সন্ধিক্ষণে চিকিৎসকদের এসএমএস পাঠিয়ে তাঁদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অচিরেই বিনামূল্যে করোনার টিকা দেওয়া হবে বলে জানাতে শুরু করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here