দেশের সময়,ওয়েবডেস্কঃ কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর সিদ্ধান্ত ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে ঘোষণা করেছিলেন, জম্মু ও কাশ্মীর পৃথক দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হবে। সেই পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হবে লাদাখ। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছিলেন, কাশ্মীর ও জম্মুতে নির্বাচিত সরকারই থাকবে।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পর জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্যে সম্পত্তি ও দায় ভাগাভাগি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। যা এক দিনের কাজ নয়। সহজ কাজও নয়। সেই দায়িত্বই এ বার বাংলার প্রাক্তন মুখ্য সচিব তথা প্রাক্তন প্রতিরক্ষা সচিব সঞ্জয় মিত্রকে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।
প্রশাসনিক দায়িত্বে সঞ্জয় মিত্রের অভিজ্ঞতা সুদীর্ঘ। মনমোহন সিংহ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর প্রাইভেট সেক্রেটারি ছিলেন সঞ্জয় মিত্র। পরে ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক পালাবদলের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে তাঁকে স্বাস্থ্য সচিব ও পরে মুখ্য সচিব পদে বসান।
আমলা মহলের অনেকে বলেন, পরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিশেষ মতের মিল হচ্ছিল না। তাই ফের দিল্লি ফিরে যান। তখন প্রথমে পরিবহণ সচিব ছিলেন তিনি। পরে প্রতিরক্ষা সচিব পদের দায়িত্ব পান।
প্রসঙ্গত, ৩১ অক্টোবর থেকে জম্মু ও কাশ্মীর সরকারি ভাবে পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসাবে স্বীকৃতি পাবে। তার আগে সম্পত্তি ও দায় ভাগাভাগি করে ফেলতে হবে। সঞ্জয় মিত্র ছাড়াও তিন সদস্যের কমিটিতে রাখা হয়েছে প্রাক্তন আইএএস অফিসার অরুণ গোয়েল এবং সিভিল অ্যাকাউন্টস অফিসার গিরিরাজ প্রসাদকে।
শুধু সম্পত্তি ভাগাভাগি নয়, জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হলেও যে হেতু সেখানে বিধানসভা নির্বাচন হবে, তাই নতুন করে ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করতে হবে সরকারকে। সেই প্রক্রিয়াও দ্রুত শুরু করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। কয়েক দিনের মধ্যে তাও ঘোষণা করে দেওয়া হবে।