দেখুন ভিডিও:
https://www.facebook.com/anwesha.anny2000/videos/2576379702595724/
দেশের সময়, গোবর ডাঙা: চমকে গেলেন যাত্রীরা। কিছুটা ভয়। কিছুটা বিস্ময়। তারপর সব উধাও!
ডেলি প্যাসেঞ্জারদের মতো লোকাল ট্রেনে উঠে পড়ল হনুমান। দখল করে নিল জানলার ধারের সিট। তারপর প্রকৃতির শোভা দেখতে দেখতে চলল সে। শিয়ালদহ থেকে ছেড়ে আপ গোবরডাঙা লোকাল যখন গোবরডাঙা স্টেশনে থামল, তখন ট্রেন ফাঁকা হতে দেখে হনুমানটিও গুটিগুটি পায়ে নেমে পড়ে ট্রেন থেকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কাউকে জ্বালাতন করেনি হনুমানটি। চুপচাপ জানলার ধারে বসেছিল। হনুমানটিকে দেখে অনেকেই প্রথমে ভয় পেয়েছিলেন। কিন্তু কয়েকটি স্টেশন যেতে ভয় কেটে যায়। তার পাশে বসেই যান যাত্রীরা। এক যাত্রী রসিকতা করে বলেন, “হাবভাব দেখে মনে হল ডেলি প্যাসেঞ্জার!”
হনুমানের অদ্ভুত অদ্ভুত কাণ্ড প্রায়ই সামনে আসে। কয়েক দিন আগেই বীরভূমের মল্লারপুর স্টেশনে দুটি হনুমানের ব্যাপক মারামারি হয়। একটি হনুমান তাতে গুরুতর জখম হয়। শরীরের একাধিক জায়গায় মাংস বেরিয়ে আসে তার। তারপরেই অন্য হনুমানটি চলে আসে স্টেশনের টোটো স্ট্যান্ডে। উঠে বসে টোটোতে। হনুমানকে টোটোতে উঠতে দেখে ভয় পেয়ে যান অন্য যাত্রীরা। কিন্তু কারও দিকে নাকি তেড়ে যায়নি সে। করুণ দৃষ্টিতে সবার দিকে তাকিয়ে ছিল। যেন এটা বোঝাতে চাইছিল, কারও ক্ষতি করার কোনও উদ্দেশ্য তার নেই। হনুমানটিকে চুপচাপ বসে থাকতে দেখে অবশ্য টোটো চালাতে শুরু করে দেন চালক। কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পরেই একটা ওষুধের দোকান দেখে চলন্ত টোটো থেকে নেমে পড়ে হনুমানটি।
তারপর ওষুধের দোকানে ঢুকে শো-কেসের উপর বসে পড়ে হনুমানটি। দোকানদারের দিকে তাকিয়ে নিজের জখম হওয়া জায়গায় হাত দিয়ে দেখাতে থাকে। সেটা দেখে দোকানদার বুঝতে পারেন ওষুধ লাগিয়ে দেওয়ার কথা বলছে সে। এই দৃশ্য দেখে এগিয়ে আসেন এক যুবক। দু’জনে মিলে তুলো দিয়ে জায়গাটা পরিষ্কার করে মলম ও ওষুধ লাগিয়ে দেন। তারপর জলে গুলে ব্যথার ওষুধও খাওয়ানো হয় তাকে। এই পুরো সময়টা চুপ করে বসেছিল হনুমানটি। এদিন আর এক হনুমানের কীর্তি দেখল গোবরডাঙা লোকাল।