দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ হাই প্রোফাইল এক মামলার বড়সড় অপরাধীর সঙ্গে জেলের ভিতরে সিনিয়র পুলিশকর্তার কথা বলার ছবি ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর সেন্ট্রাল জেলের এই ঘটনার দৃশ্য সামনে আসার পরে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, একটি বিশাল বড় মধুচক্রের মামলার মূল অভিযুক্ত শ্বেতা বিজয় জৈন। একটি ছবিতে দেখা গেছে, শ্বেতা কথা বলছে এক সিনিয়র পুলিশকর্তা কেকে কুলশ্রেষ্ঠর সঙ্গে। ইন্দোরের জেলের ফিমেল ওয়ার্ডে ওই পুলিশকর্তা কী করছিলেন, কেনই বা অপরাধীর সঙ্গে কথা বলছিলেন, প্রশ্ন উঠেছে তাই নিয়ে। ওই মামলার মূল পাঁচ অপরাধীই এখন জেলে, বিচার চলছে তাদের। এই পরিস্থিতিতে তাদের হয়ে কথা বলার কথা তাদের উকিলের। অভিযুক্ত কখনওই সরাসরি পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে পারে না নিয়ম অনুযায়ী।
এই ঘটনার কথা সামনে আসার পরেই জেলের ডিআইজি সঞ্জয় পাণ্ডে জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই জেলের ফিমেল ওয়ার্ডে এই মুহূর্তে ৮০ জনেরও বেশি মহিলা বন্দি রয়েছে। ডিআইজির কথায়, “খোঁজখবর করেছি আমরা ওই ছবি দেখে। এখনও আপত্তিজনক কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। ইন্দোর সেন্ট্রাল জেলের সুপারিন্টেন্ডেন্ট রাকেশ কুমাপ ভাংরের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে, কী করে জেলের ভিতরে ছবি উঠছে ও তা বাইরে যাচ্ছে।”
গত বছর ধরা পড়েছিল মধ্যপ্রদেশের এক বিশাল ব়্যাকেট। জানা গেছিল, বেশ কিছু উচ্চপদস্থ আমলা এবং আট জন প্রাক্তন মন্ত্রী জড়িয়ে রয়েছে এই মামলায়। হাজারটির বেশি সেক্সচ্যাটের ক্লিপ হাতে এসেছিল তদন্তকারীদের। মিলেছিল অসংখ্য অডিও ও ভিডিও। সেই সঙ্গে কোটি কোটি টাকার আদানপ্রদান তো ছিলই। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে প্রভাবশালী অভিযুক্তদের একাংশ।
এই মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে আসে দুই মহিলার, শ্বেতা বিজয় জৈন এবং বরখা সনি ভাটনগরের। এরা দুজন বিজেপি এবং কংগ্রেস এই দুই দলের নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গেই সরাসরি যোগাযোগ রাখত বলে জানা গেছে। অনেক বড় বড় বিজনেস ডিল তাদের মাধ্যমেই করা হত।
সূত্রের খবর, ওই ‘হানি ট্র্যাপ’ ব়্যাকেট মূলত নেতা-মন্ত্রীদের নিয়েই কাজ করত। এই কাজের জন্য মহিলাদের দুর্দান্ত টোপ হিসেবে ব্যবহার করত তারা। যৌনকর্মী থেকে কলেজছাত্রী– সকলেই ছিল তাদের টোপ। ওই দলের পাঁচ মহিলা এই বিষয়টিকে খুব সাবধানতা ও দক্ষতার সঙ্গে দেখাশোনা করত। ইতিমধ্যেই শ দুয়ের মোবাইল নম্বর পেয়েছে পুলিশ, যাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।