দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের পরেই বিজেপির রাজ্য অফিসের সামনে লম্বা লাইন পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুকুল রায়। না, তেমনটা হয়নি। কিন্তু টুকটুক করে শক্তি বাড়িয়েই চলেছে পদ্ম। গত বিধানসভায় বিজেপি জয় পেয়েছিল তিনটি আসনে। আর উপনির্বাচনে এসেছে চার আসন। সেই সঙ্গে একের পর এক দলবদলে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা এখন তের।

২০১৬ সালে তিনটি আসনে জিতেছিল বিজেপি। মাদারিহাটে মনোজ টিগ্গা, বৈষ্ণবনগরে স্বাধীন সরকার এবং খড়্গপুর সদরে জয় পান বিজেপি রাজ্য সম্পাদক দিলীপ ঘোষ। এখন দিলীপবাবু সাংসদ হয়ে যাওয়ায় বিধায়াক পদ ছেড়েছেন। খুব শীঘ্রই সেখানে উপনির্বাচন হবে।

লোকসভা নির্বাচনের সময়েই উপনির্বাচনে চারটি আসনে জয় পায় বিজেপি। ভাটপাড়ায় পবন সিং, দার্জিলিঙে নীরজ তামাং জিমবা, হবিবপুরে জোয়েল মুর্মু, কৃষাণগঞ্জে আশিস বিশ্বাস জয় পান।


বিজেপিতে মঙ্গলবারই যোগ দিয়েছেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। তার আগের দিনে যোগ দিয়েছেন নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং। এরও আগে যোগ দিয়েছেন দুই তৃণমূল বিধায়ক। লাভপুরের মনিরুল ইসলাম, বীজপুরের শুভ্রাংশু রায়। এছাড়াও বিজেপিতে এসেছেন বাগদা ও বিষ্ণুপুরের কংগ্রেস বিধায়ক দুলালচন্দ্র বর ও তুষারকান্তি ভট্টাচার্য এবং হেমতাবাদের সিপিএম বিধায়ক দেবেন্দ্র রায়। এখনও পর্যন্ত মোট সাতজন অন্য দল থেকে বিজেপিতে এসেছেন।

বিজেপির টিকিটে জেতা আর বিজেপিতে আসা বিধায়কের যোগফল বলছে তিন থেকে বেড়ে এখন তের বিধায়ক বিজেপির পক্ষে। আরও অনেকের যোগদানের ফলে এই সংখ্যাটা খুব তাড়াতাড়ি বাড়তে পরে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। সেই সঙ্গে সামনেই তিনটি আসনে উপনির্বাচন হবে। খড়্গপুর সদর, কালিয়াগঞ্জ, করিমগঞ্জের ভোটেও বিধায়ক সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে বিজেপির। এর মধ্যে খড়্গপুর সদর আসনে বিধায়ক ছিলে সাংসদ দিলীপ ঘোষ। লোকসভা নির্বাচনেও এই আসনে এগিয়ে বিজেপি। অন্য দিকে, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জেও এগিয়ে বিজেপি। করিমগঞ্জে অবশ্য লোকসভা ভোটের নিরিখে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ বিধানসভাতে এগিয়ে থাকতে তীক্ষ্ম নজড় রেখে চলেছে বিজেপি৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here