দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ২ অগাস্ট। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধির জন্মদিন। সেই উপলক্ষে শনিবার সকালে গান্ধি জয়ন্তীতে দিল্লির রাজঘাটে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । পাশাপাশি, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর জন্মবার্ষিকীতে বিজয়ঘাটে তাঁর সমাধিস্থলেও মাল্যদান করেন তিনি।

মহাত্মা গাঁধীকে শ্রদ্ধা জানালেন নরেন্দ্র মোদী জাতির পিতার ১৫২-তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ করে ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাপুর জীবন ও আদর্শ দেশের প্রতিটি প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। গাঁধী জয়ন্তীতে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর মহান নীতি কেন আজও দুনিয়াব্যাপী প্রাসঙ্গিক , অগনিত মানুষকে শক্তি দেয়, তারও উল্লেখ করেন মোদী। তিনি লেখেন, জাতির পিতা মহাত্মা গাঁধীর জন্মবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা তাঁকে। পূজ্য বাপুর জীবন, আদর্শ কর্তব্য পালনের পথে দেশের প্রত্যেক প্রজন্মকে প্রাণিত করে চলেছে।

গাঁধী জয়ন্তীর প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী উদ্দীপনার সঙ্গে বাপু জয়ন্তী পালনে সবাইকে খাদির সামগ্রী কেনার আবেদন করেছিলেন। ৮১ তম মন কী বাত-এ গত  রবিবার স্বচ্ছ পরিবেশ তৈরির আন্দোলনে গাঁধীর অবদানের কথাও বলেছিলেন।  প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, মহাত্মা গাঁধী স্বাধীনতার স্বপ্নের সঙ্গে স্বচ্ছতাকে যুক্ত করেছিলেন। উনি ছিলেন স্বচ্ছতার প্রবক্তা। স্বচ্ছতাকে গণ আন্দোলনে পরিণত করেছিলেন। আজ এতগুলি দশক বাদে নতুন ভারতের স্বপ্নের সঙ্গে  ফের জুড়ে  গিয়েছে স্বচ্ছতার আন্দোলন। আজাদি কা অম্রুত মহোতিসবের উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা পর্বে আমরা তৃপ্তির সঙ্গে বলতে পারি, স্বাধীনতা আন্দোলনে খাদিকে নিয়ে গর্ব জড়িয়ে ছিল, আজ আমাদের তরুণ প্রজন্ম সেই একই গৌরব দিচ্ছে খাদিকে।

দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধির ১৫২তম জন্মজয়ন্তী। এ দিন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, লোকসভা স্পিকার ওম বিড়লা, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি, ইউএস সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টেনিও গুতেরাস-সহ দেশের বহু রাজনৈতিক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব গান্ধিজির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন। রাজঘাটের পাশাপাশি বিজয়ঘাটে মাল্যদান করেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধি। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেঙ্কইয়া নাইডু ও লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।

বাপুর জন্ম জয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে ট্যুইট করেছেন স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ। জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গুজরাত এবং অন্যান্য রাজ্যের জল জীবন মিশনের থেকে সুবিধাপ্রাপ্ত গ্রাম পঞ্চায়েত, জল সমিতি এবং গ্রামের জল এবং নিকাশির সঙ্গে যুক্তদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে গুজরাতের ১৪,২৫০ গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে হবে ‘গ্রাম সভা’।  পিম্পিলী গ্রামটি কীভাবে লাভবান হয়েছে এই ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্প থেকে, তা ভিডিও কনফারেন্সে দেখানো হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here