দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃকলকাতার সল্টলেক থেকে রাণীগঞ্জের শিল্পাঞ্চল, কয়লা পাচারের তদন্তে নেমে এর আগেও বহুবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে। বুধবার সকাল থেকে ফের একবার তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে তারা। মূলত বিনয় মিশ্র ও অনুপ মাঝি ওরফে লালা ঘনিষ্ঠদের বাড়িতেই এই তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, বুধবার সকাল থেকে দুর্গাপুর, আসানসোল ও রাণীগঞ্জের অন্তত ১০ জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। সেখানে রয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার অন্তত ৭৫ অফিসার। এছাড়া কলকাতায় সিবিআইয়ের আরও ৫টি দল স্ট্যান্ড বাই হিসেবে রয়েছে বলেই খবর। অর্থাৎ দরকার পড়লে তাদেরও নিয়োগ করা হবে। মূলত লালা ও বিনয় মিশ্র ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে একসঙ্গে সিবিআই হানা দিয়েছে বলে খবর।
কয়লা ও গরু পাচারকাণ্ডে ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালার খোঁজ এখনও পায়নি সিবিআই। এরমধ্যেই গত ৩১ ডিসেম্বর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি অভিযান হয়েছে। রাসবিহারী ও চেতলায় ওই ব্যবসায়ীর ২টি বাড়িতে হানা দেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। তবে তার সন্ধান পায়নি সিবিআই। ফলে তার নামে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি সূত্রে জানা গিয়েছে, একাধিক মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং অনেক নথি এদিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কয়লা পাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই পুরুলিয়ার ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালাকেও তলব করেছে সিবিআই। কিন্তু হাজিরা দেননি তিনি। গরু পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল হক আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছে। সিবিআই মনে করছে, লালা ও এনামুলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বিনয়ের। উদ্ধার হওয়া নথি থেকে আরও অনেক প্রভাবশালীর সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।
গত নভেম্বর মাসে আয়কর দফতরের হাত থেকে কয়লা পাচার তদন্তের দায়িত্ব নেয় সিবিআই। তারপর থেকে একের পর এক তল্লাশি অভিযান চলেছে রাজ্যে। পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, কলকাতায় চিরুনি তল্লাশি চালিয়েছেন গোয়েন্দারা। এছাড়া হুগলির কোন্নগর এবং হাওড়ার সালকিয়ায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। সিবিআই সূত্রে এও বলা হচ্ছে, যে সংগঠিত কায়দায় কয়লা ও গরু পাচার চলত তাতে এটা স্পষ্ট বড় মাথা এর পিছনে রয়েছে। প্রশাসনিক আশ্রয় না থাকলে এই জিনিস সম্ভব নয় বলেও মত গোয়েন্দাদের। হয়তো সেই মাথার সন্ধানেই তদন্ত এগোচ্ছে সিবিআই।