দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সোমবার বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে কৃষি বিল পাশের প্রশ্নে কেন্দ্রে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এতে মজুতদারদের সুবিধা হবে, চাষীরা উপযুক্ত দাম পাবেন না। শুধু মমতা কেন, বাম, কংগ্রেস সকলেরই এক মত।

বিরোধীদের সেই আক্রমণ ভোঁতা করে দিতে এদিন সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থ বিষয়ক কমিটির বৈঠকে রবিশস্যের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানোর কথা ঘোষণা করে দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। গমের জন্য সহায়ক মূল্য বাড়ানো হয়েছে কুইন্টাল প্রতি ৫০ টাকা। অর্থাৎ চাষীরা গমের জন্য কুইন্টাল প্রতি ১৯৭৫ টাকা সহায়ক মূল্য হিসাবে পাবেন। সরষের সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ২২৫ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪৬৫০ টাকা। আর সবথেকে দাম বেড়েছে মুসুরির ডালের। কুইন্টাল প্রতি সহায়ক মূল্য ৩০০ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫১০০ টাকা।

পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদের গোড়ায় ধারণা ছিল নয়া কৃষি আইনের কারণে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যই উঠে যাবে। সেই ধারনা যে ভ্রান্ত তা আগেই জানাচ্ছিলেন সরকার ও কেন্দ্রে শাসক দলের শীর্ষ নেতারা। সংসদে কৃষি বিল পাশ হওয়ার পর হাতেনাতে তার প্রমাণ দিতেই এদিন পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র।

তবে মোদী সরকারের স্রেফ এই পদক্ষেপেই তুষ্ট নন বিরোধীরা। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রে মজুতদারদের সরকার চলছে। আলু, পেঁয়াজকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এবার আলুর দাম বেড়ে যাবে। মধ্যবিত্তের ভোগান্তি বাড়বে।

বিজেপির অবশ্য পাল্টা বক্তব্য রয়েছে। তাদের দাবি, চাষীরা যাতে কৃষিপণ্যের দাম ঠিকমতো পায় সে জন্যই নতুন আইন পাশ করা হয়েছে। এর ফলে কৃষিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়বে। ফড়েদের কারবার বন্ধ হবে। তাতে চাষীরা যেমন ফসলের ভাল দাম পাবেন, তেমনই ফড়েদের রমরমা বন্ধ হওয়ায় সাধারণ মানুষেরও সাশ্রয় হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here