দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ একুশ বছরের সম্পর্কটায় ইতি টেনেছেন। আজ বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের বিধায়ক হিসেবে পদত্যাগের পর আজ আবার মঞ্চে উঠছেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও মঞ্চ অরাজনৈতিক। সেখান থেকেই তিনি কী বলতে পারেন,তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যত ঠিক কী, সেদিকে তাকিয়ে গোটা বাংলা।
তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রতিষ্ঠা দিবস আজ। সেই উপলক্ষ্য়েই তমলুকের নিমতৌড়িতে আজ সভা করতে চলেছেন শুভেন্দু। তাম্রলিপ্ত জনকল্যান সমিতিতে সভাপতি পদে বহাল রয়েছেন শুভেন্দু। সভা মঞ্চ থেকে তাঁর মুখ থেকে নিক্ষিপ্ত প্রতিটি মাপবে রাজ্যের যুযুধান পক্ষগুলি।
সাধারণত অরাজনৈতিক সভায় কখনও রাজনৈতিক শব্দোচ্চারণ করেন না শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তাল কাটে গত বৃহস্পতিবার। রীতিমতো বিষোদগার করেন তিনি। বলেন, যাঁরা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছেন, তারা শুনুন। আমি অনেক লড়াইয়ের সাক্ষী। আমায় এখানে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমার ওপর ১১ বার আক্রমণ হয়েছে। শুভেন্দু কোনও পদের লোভ করেন না। আমি মন্ত্রী ছাড়ার পরেও আমার সভায় লোক আসে ৷
গতকাল, বুধবার ঠিক বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ বিধানসভা পৌঁছন শুভেন্দু। বিধানসভা সচিবের সঙ্গে দেখা করে তাঁর পদত্যাগ পত্র জমা দেন। জানা যাচ্ছে, ই-মেলের মাধ্যমে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে তাঁর পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন। যদিও বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ‘শুভেন্দুর ইস্তফাপত্র গৃহীত হচ্ছে না। কারণ, ‘ইস্তফাপত্র গ্রহণের এক্তিয়ার নেই সচিবের।’ রাজনৈতিক মহল প্রায় নিশ্চিত শুভেন্দু আগামী শনিবারই বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। অমিত শাহের উপস্থিতিতেই পদ্মাসনে থিতু হতে পারেন তিনি। তাঁর আগে আজ লিটমাস টেস্ট শুভেন্দুর, কোন রং ধরে তাঁর রাজনীতিতে জানতে মুখিয়ে বাংলা।
এদিকে শুভেন্দুর ওই সভার আগেই তাঁর কলকাতার বাড়ির সামনে মমতার ছবি-সংবলিত পোস্টার পড়েছে। যেখানে লেখা আছে, ‘আমরা দিদির অনুগামী’, ‘আমরা তৃণমূলের অনুগামী’। অর্থাৎ, শুভেন্দু-অনুরাগীরা ‘দাদার অনুগামী’ বলে গোটা রাজ্যে যে পোস্টার সাঁটছেন, তার পাল্টাও তৃণমূলের তরফে দেওয়া শুরু হয়ে গেল। এই পোস্টার-যুদ্ধ যে আরও গড়াবে, তা নিয়ে উভয় শিবিরেরই এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই৷
অন্যদিকে বৃহস্পতিবারই উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷সকাল পর্যন্ত তিনি শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক সদর দফতর উত্তরকন্যায় ছিলেন। সেখানে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে তাঁর বৈঠক করার কথা। এখন দেখার, কলকাতায় ফিরে এসে মমতা সামগ্রিক ভাবে দলের বিষয়ে কিছু বলেন কি না। দেখার এ-ও যে, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে তাঁর শুক্রবারের প্রস্তাবিত বৈঠকের বিষয়ে কোনও অগ্রগতি হয় কি না।