দেশের সময়ঃ রানাঘাটের রানু মণ্ডল। লতা মঙ্গেশকরের ‘এক প্যার কা নাগমা হ্যায়’ গেয়ে রাতারাতি বিখ্যাত হয়েছেন তিনি। রানাঘাটের স্টেশনে বসেই গান গাওয়ার সময় স্থানীয় দু’জন তরুণ অতীন্দ্র এবং তপন গোটা ব্যাপারটা ভিডিয়ো করেন। তারপরেই নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ইতিমধ্যেই ইতিহাস গড়েছে ‘রানুদি’-র গান।

মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি! অভিযোগ রানু মণ্ডলের মেয়ের

মায়ের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করলে ক্ষতি হবে মেয়ের! এমনটাই অভিযোগ রানাঘাটের রানু মণ্ডলের মেয়ে সাথীর। তাঁর অভিযোগ, মায়ের দুই ম্যানেজার অতীন্দ্র চক্রবর্ত্তী এবং তপন দাস নাকি এমন হুমকিই দিয়েছেন তাঁকে। বলা হয়েছে, রানুর সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগের চেষ্টা করলে সাথীর পা ভেঙে দেওয়া হবে। সাথীর কথায়, “অতীন্দ্র এবং তপনকে দেখে মনে হচ্ছে ওরা আমার মায়ের ছেলে। স্বার্থ ছাড়াই সব করছে। আসলে ব্যাপারটা তা নয়। ওরা নাম কিনতে যায়। মাকে আমার বিরুদ্ধে উসকে দিচ্ছে।”

সাথী জানিয়েছেন, তাঁকে তাঁর মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেও দেয় না ওই দু’জন। তিনি বলেন, “মা মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন। ওরা সুযোগ নিচ্ছে। আমি অসহায়। কী করব বুঝতে পারছি না। কোনও স্টেপ নিতে পারছি না কারণ সেটা মায়ের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। আমি মায়ের ক্ষতি চাই না।”

রানু মণ্ডলের প্রথম পক্ষের সন্তান সাথী। একজন বড় দাদাও রয়েছে তাঁর। এ ছাড়া তাঁর মায়ের দ্বিতীয় পক্ষেরও দুই সন্তান রয়েছে। কিন্তু সাথী ছাড়া আর কেউই মায়ের ভার নেয়নি। সাথী বলেন, “অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছিল আমার। তারপর ডিভোর্স হয়ে যায়। সিঙ্গল মাদার আমি। ছোট্ট মুদির দোকান চালিয়ে সংসার সামলাই। সন্তানের দায়িত্বও রয়েছে। তাই যতটা পারতাম মাকে সাহায্য করতাম। কিন্তু তাতেই সকলেই বলছে মা বিখ্যাত হওয়ার পর আমি লোভে পড়ে মায়ের দেখভাল করতে এসেছি। কই মায়ের বাকি সন্তানদের ক্ষেত্রে তো এমন কথা কেউ বলছেন না।”

এখানেই শেষ নয়, যে দু’জনের জন্য আজ রানু মণ্ডল এত বিখ্যাত তাঁদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ এনেছেন সাথী। তোপ দেগে বলেছেন, অতীন্দ্র এবং তপনকে তিনি একেবারেই বিশ্বাস করেন না। তাঁর অভিযোগ, রানুর অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন এই দু’জন। বদলে কিনেছেন মাত্র একটা স্যুটকেস আর কয়েকটা নাইটি। বাকি টাকা কোথায় গিয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রানু মণ্ডলের মেয়ে। সাথীর কথায়, “আমাকে মায়ের সঙ্গে মুম্বই পর্যন্ত যেতে দেয়নি। ওরা বিখ্যাত হতে চায়। লোভের জন্যই এ সব করছে। তবে আমি তো মেয়ে তাই নিজের সঙ্গে মাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করব।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here