দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ এবার ময়দানে নেমেই যেন চার-ছয় হাঁকাচ্ছে শীত! রাজ্যে বাধাহীন উত্তুরে হাওয়া ঢোকার কারণে কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে পাহাড় থেকে সমতলের জেলাগুলি।প্রতিদিনই কমছে কলকাতার তাপমাত্রা। গতকাল শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার তা নেমে গিয়েছে ১১ ডিগ্রিতে। শুধু কলকাতা নয়, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমেছে জেলার তাপমাত্রাও। আর তাই আগামী ৪৮ ঘণ্টা দক্ষিণবঙ্গের ছয় জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আজ, সোমবার এক ধাক্কায় কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি নেমে গিয়েছে। যা এই মরশুমে রেকর্ড। দিঘা ছুঁয়ে ফেলেছে ১০ ডিগ্রির ঘর। ঠান্ডায় পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট দার্জিলিঙ।
সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি কম। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৫ শতাংশ ও সর্বনিম্ন ৪২ শতাংশ। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আলিপুর।
কলকাতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাপমাত্রা কমছে জেলাতেও। রাজ্যে সবথেকে কম তাপমাত্রা দার্জিলিংয়ে। পাহাড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া কালিম্পঙে ৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শিলিগুড়িতে ৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জলপাইগুড়িতে ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বালুরঘাটে ১০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মালদায় ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শ্রীনিকেতনে ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পানাগড়ে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দিঘায় ১০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আসানসোলে ৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ব্যারাকপুরে ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাঁকুড়ায় ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পুরুলিয়ায় ৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বহরমপুরে ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ডায়মন্ডহারবারে ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। আলিপুর জানিয়েছে, রাজ্যের পাঁচ জেলায় শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত এভাবেই জাঁকিয়ে শীত চলবে বলে জানিয়েছে আলিপুর। উত্তর ভারত জুড়ে শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। কিন্তু গত শুক্রবার পর্যন্ত কুয়াশার দাপট ছিল বঙ্গে। কুয়াশা সরে যেতেই তাই শনিবার থেকে কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। ইতিমধ্যেই পাহাড়ে তুষারপাত শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে এবার বিহারেও শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। তারও প্রভাব পড়ছে পারদ পতনে। বুধবার থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও তা ১৩-১৪ ডিগ্রির আশপাশেই থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তার ফলে বড়দিনে ভালভাবেই শীতের আমেজ পাবেন রাজ্যবাসী।