এবার পুজোয় রাজনীতিও জমজমাট—দেশের সময়ঃ

0
794

এবার পুজোয় রাজনীতিও জমজমাট—বছর ঘুরলেই লোকসভার নির্বাচন।তাই এবার পুজোর সময় রাজনীতির ময়দান ফাঁকা রাখছে না কেউই।কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী পুজোর সময়তেই কলকাতাতে এসে ছিলেন।সদ্য পরিবর্তিত হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদ।আবার দায়িত্ব নিয়ে সোমেন মিত্র জানিয়ে দিয়েছেন,দলটাকে তিনি রাস্তায় নামাতে চান।আর তাই পুজোর দিন গুলিও যাতে ময়দান ফাঁকা না থাকে তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন।রাহুল গান্ধী পুজোয় কলেজ স্কয়ারে অঞ্জলি দেন।কংগ্রেস তাই পুজোর সময় থেকে তাদের সাংগঠনিক কাজ সারবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে।বিভিন্ন পুজো কমিটির সঙ্গে কংগ্রেস নেতারা যুক্ত হয়ে পড়তে শুরু করেছেন।দলীয় স্তরে সিদ্ধান্ত যতটা বেশী সম্ভব মানুষের সঙ্গে যোগায়োগ বাড়াতে পুজোকেই ব্যবহার করতে চাইছে কংগ্রেস।সোমেন মিত্র আবার প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব নেওয়ায় পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে পড়াটা কংগ্রেসের পক্ষে সুবিধা হচ্ছে বলে দলের অন্দর মহলের দাবি।অন্য দিকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল পুজোকে প্রত্যেকবার ব্যবহার করে আসছে।রাজ্যের বড় বড় পুজোগুলো তাদেরই পৃষ্ঠপোষকতায় লালিত হয়।এটা একেবারে ওপেন সিক্রেট।শুধু তাই নয় রাজ্যের অনেক নামি দামি পুজো পরিচালিত হয় রাজ্যের মন্ত্রী ও নেতাদের দ্বারা।এবার মমতার স্পষ্ট নির্দেশ পুজোর সময় দলের কর্মসূচি আর বেশী করে তুলে ধরতে হবে।তারা যে কতটা পুজো ভালবাসেন তার প্রমাণ দিতে প্রত্যেক নেতাকে আলাদা আলাদা দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।রাজ্য জুড়ে পুজোর সময় রাজনৈতিক কাজ চলবে বলে তৃণমূলের ভেতরের খবর।এদিকে বিজেপি এই পুজোকে সামনে রেখে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েছে।দলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে পুজোর পরেই শুরু হবে জেলায় জেলায় রথ যাত্রা।সেই যাত্রায় অংশ নেবেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা।পুজোর সময়ই তৈরি করে ফেলা হবে তার যাবতীয় রূপরেখা।এই লক্ষ্যে বিজেপি তাদের নেতাদের এলাকায় এলাকায় পাঠাচ্ছে পুজোর মধ্য দিয়েই সাধারণ মানুষের মন জয় করতে।বিজেপি তাদের শাখা সংগঠনকেও ব্যবহার করে পুজোর দিন গুলোতেও মানুষের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে প্রয়াসী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।মূলত টক্কর চলছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যেই কে বেশী পুজোকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের মন জয় করতে পারে তা নিয়ে।শাসন ক্ষমতায় থাকার ফলে তৃণমূল পুজো পরিচালনার দায়িত্ব অনেক বেশী পেয়েছে তবে খবর হল ভেতরে ভেতরে বিজেপিও নানা ভাবে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে পুজোতে।পুজোর সময় রাজনৈতিক তরজা সাধারণত বন্ধ থাকে কিন্তু এবার মনে হয় চিত্রটা একটু বদলে যাবে।কারণ সবাই নিজের নিজের মত রাজনৈতিক গুটি সাজিয়ে পুজোর ময়দানে নেমে পড়তে শুরু করেছে।যেহেতু সামনে বড় ভোট পুজো তাই দুর্গা পুজোর মধ্য দিয়েই সেই ভোট পুজোর সলতে পাকানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে।বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেস তাদের সাংগঠনিক শক্তিতে শান দিতে পুজোকেই বেছে নিচ্ছে।এবার পুজোতে তাই রাজনীতির আসরও থাকছে একেবারে জমজমাট।সাধারণ মানুষের চাহিদা অবশ্য একটাই পুজোয় রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরা থাকুন ক্ষতি নেই,রাজনৈতিক হানাহানি বা হিংসা যেন না থাকে।

Previous articleপুজোর সময়: প্রেয়সী চক্রবর্তী:
Next articleপুজোয় স্বস্তি। রোদ–ঝলমলে উৎসবে মাতল বাঙালিঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here