দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দোরগোড়ায় উৎসব। শারদীয়া, দীপাবলীর পরেই শীতকাল পড়ে যাবে। বছর শেষে ক্রিসমাস, নিউ ইয়ার ইভ! আর কয়েক দিন পরেই গোটা দেশ ঢুকে যাবে উৎসবের মরশুমে। কিন্তু এই সময়ে যাতে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি কঠোর ভাবে বজায় থাকে সে ব্যাপারে পই পই করে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় সরকার।
নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) চিকিৎসক বিনোদ পাল বলেন, “আগামী দু’তিন মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সবাইকে প্রয়োজনীয় সতর্কতা রাখতে হবে। মাস্ক পরা মাস্ট! মানতে হবে সামাজিক দূরত্বের বিধিও।”
তিনি আরও বলেন, গ্রীষ্ম থেকে শীতের মরসুমে ঢোকার সময়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ে। তাই এই সময়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। তাঁর কথায়, মাস্কের ব্যবহারে সংক্রমণের হার যে কম হচ্ছে সেই প্রমাণ একাধিক দেশে মিলেছে। তাই বৈজ্ঞানিক কারণেই মাস্ককে অপরিহার্য করে তুলতে হবে।
সরকারের তরফে বলা হয়েছে, আগামী মাসে অর্থাৎ অক্টোবরে দৈনিক সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। সেদিক থেকে সব ধরনের সাবধানতা রাখতে হবে প্রতিটি নাগরিককে। শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রেও বিশেষ সতর্কতা রাখতে হবে।
অনেকেই বলছেন, ভারতে কোভিড সংক্রমণ শিখর ছুঁতে পারে অক্টোবরে। এ ব্যাপারে নীতি আয়োগ সদস্য বলেন, “সামনে শীতকাল। সেই সঙ্গে উৎসবের মরসুম। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই আরও বেশি করে জনমানসে সতর্কতা প্রয়োজন।”
নীতি আয়োগ সদস্য ব্যাখ্যা করে বলেন, “যতদিন না ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে ততদিন সতর্কতা মানতেই হবে। এ ব্যাপারে সবটা সরকার বা প্রশাসন করতে পারবে না। জনসাধারণকেও সচেতন হতে হবে।”
উল্লেখ্য ,সীমান্ত শহর বনগাঁয় এবারের পুজোর ফ্যাশনে বিভিন্ন রঙের “দুর্গা মাস্ক” তৈরীর কাজ চলছে জোরকদমে। স্থানীয় বস্ত্র তৈরীর প্রতিষ্ঠান নিভা’র কর্ণধার তপন চক্রবর্তী জানান চিত্র শিল্পী পিয়ারী’নন্দীর তুলির টানে এই মাস্কে ফুটে উঠছে দুর্গা মায়ের বিভিন্ন রুপ,যা এবার তরুণ-তরুণীদের থেকে শুরু করে সমস্ত বয়সের মানুষের মন কারবে৷ এই ‘দুর্গা মাস্ক’ স্বাস্থ্য সচেতনতায় বিশেষ ভূমিকাও পালন করবে বলে ধারনা৷