দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনা আক্রান্তদের মধ্যে যাঁদের মাঝারি ও গুরুতর উপসর্গ আছে, তাঁদের চিকিৎসায় এতদিন মিথাইলপ্রেডিনিসোলন নামে একটি ওষুধ ব্যবহার করছিলেন চিকিৎসকরা। শনিবার কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, এবার থেকে ওই ধরনের রোগীর চিকিৎসায় ডেক্সামিথাসোন নামে একটি স্টেরয়েডও ব্যবহার করা যাবে। হু থেকে দ্রুত ওই ওষুধ তৈরির জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। ব্রিটেনে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পরে জানা গিয়েছে, ডেক্সামিথাসোন করোনায় গুরুতর অসুস্থদের জীবন বাঁচাতে পারে।
এর আগে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে প্রদাহ কমানোর জন্য ডেক্সামিথাসোন ব্যবহার করা হত। এখন যে কোভিড রোগীদের অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে, তাঁদেরও ওই ওষুধ দেওয়া যাবে। শুক্রবার ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৫৫২ জন। ২৪ ঘণ্টায় আক্রমণের সংখ্যায় তা রেকর্ড। দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫ লক্ষ ৮ হাজার ৯৫৩ জন। করোনা অতিমহামারীর সংক্রমণ যে ১০ টি দেশে সবচেয়ে বেশি হয়েছে, তাদের মধ্যে চার নম্বরে আছে ভারত।
ভারতে মাত্র ১৪৯ দিনে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে পাঁচ লক্ষ। ওই রোগে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫ হাজার। এখন দেশে চিকিৎসাধীন আছেন ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৩৮৭ জন। সেরে উঠেছেন ২ লক্ষ ৯৫ হাজার ৮৮০ জন। এক রোগী চলে গিয়েছেন বিদেশে।
গত ৬০ বছর ধরে ডেক্সামিথাসোন নামে ওষুধটি বাজারে পাওয়া যায়। সাধারণত প্রদাহ কমাতে সেই ওষুধ ব্যবহার করা হয়। কিছুদিন আগে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ২ হাজার গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগীর ওপরে ওই ওষুধ প্রয়োগ করেন। তাতে দেখা যায়, মৃত্যুর হার ৩৫ শতাংশ কমেছে।
হু বলেছে, কেবল গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগীর ওপরেই ডেক্সামিথাসোন ব্যবহার করা যেতে পারে। সেই রোগীদের পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।
এর মধ্যে কোভিডের চিকিৎসায় রেমডেসিভির ওষুধটি ব্যবহার করা হচ্ছে। ওই ওষুধ বানানোর অনুমতি পেয়েছে হায়দরাবাদের সংস্থা হেটেরো। বৃহস্পতিবার তারা মহারাষ্ট্র ও দিল্লি সহ পাঁচটি রাজ্যে পাঠিয়েছে ওই ওষুধের ২০ হাজার ভায়াল।