দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ দিল্লি ভোটের পর বিজেপির মনোবলে অনেকটাই ধাক্কা লেগেছে। বাংলার বিজেপি নেতাদের একটা বড় অংশও সামগ্রিক ভাবে হতাশ। এই পরিস্থিতিতে পুরভোট নিয়ে তাঁর কৌশলও বদলে দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে শুক্রবার পুরভোট নিয়ে দলের মধ্যে একটি ‘হাই পাওয়ার’ কমিটি গঠন করে দিলেন দিদি।
আনুষ্ঠানিক ভাবে কমিটি এখনও ঘোষণা করা হয়নি ঠিকই, তবে সূত্রের খবর, দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, পরিবহণ ও সেচ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মহা সচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওই কমিটিতে রেখেছেন মমতা। পুরভোটে প্রার্থী বাছাই, প্রচারের বিষয় নির্ধারণ ইত্যাদি সহ যাবতীয় সিদ্ধান্ত এই কমিটিই নেবে।
শাসক দলের একটি সূত্রের মতে, আগে ঠিক ছিল পুরভোট হবে ধাপে ধাপে। আগে কলকাতায় পুরভোট করিয়ে লিটমাস পরীক্ষা করে নেওয়া হবে। কারণ, দিদির ষোল আনা বিশ্বাস রয়েছে কলকাতা পুরভোটে তৃণমূল জিতবেই। তার পর সেই হাওয়ায় ধাপে ধাপে আরও কিছু পুরসভায় ভোট করানো হবে। কিন্তু তৃণমূল সূত্রে খবর, সেই কৌশল বদলে ফেলতে পারেন দিদি।
রাজ্যে পুরভোটের জন্য বিজেপি এখনও প্রস্তুত নয়। তৃণমূল যেভাবে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বুথে বুথে কাজ শুরু করে দিয়েছে, এমনকি প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়াও এগিয়ে গিয়েছে—সেই তুলনায় গেরুয়া শিবির দৃশ্যত অনেকটাই পিছিয়ে। আর বাম-কংগ্রেসের যেন সে ব্যাপারে কোনও ভ্রুক্ষেপও নেই। এই পরিস্থিতিতে এ মাসের শেষে বা মার্চের গোড়ায় পুরভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করে দেওয়া হতে পারে।
ওদিকে বিজেপি সূত্রে খবর, পুরভোটের প্রস্তুতির জন্য বিজেপি-ও একটি কমিটি গড়েছে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে মাথায় রেখে ওই কমিটিতে মুকুল রায়কে আহ্বায়ক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কমিটিতে রয়েছেন আরও প্রায় কয়েক ডজন নেতা। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের প্রস্তুতি এতোটাই ঢিলেঢালা যে ওই কমিটির সদস্যদের অনেকেই জানেন না তাঁদের কাজ কী!
পর্যবেক্ষকদের মতে, দিদি হয়তো এই সুযোগেই ওদের ধাক্কাটা দিতে চাইছেন। একুশের ভোটের আগে পুর নির্বাচনে বিজেপি তেমন কোনও ছাপ না ফেলতে পারলে সেটা অবশ্যই শাসক দলের অ্যাডভান্টেজ হবে।