দেবন্বিতা চক্রবর্তী:

দেশজুড়ে ভোটের সাথে সাথে বাড়ছে গরমের প্রোকোপ, কলকাতায় সহ রাজ্য জুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা ৷ তবে গরম বাড়লেও মিছিল মিটিং ও পদযাত্রায় সামিল হচ্ছেন রাজনৈতিক কর্তা ব্যক্তিদের সাথে সাধারন মানুষও ৷ তাই গরমে কী ভাবে নিজেদের তরতাজা রাখবেন চট করে জেনে নেওয়া যাক ৷

স্নানে অর্ধ সবল

সকালে স্নান করে যুদ্ধে বেড়নোর নিয়ম কিন্তু আদি যুগ থেকে চলে আসছে । এখন রোজই ভোট যুদ্ধংদেহী পরিবেশ ৷ তাই সকালেই স্নানের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ তাদের মতে বেলা করে স্নান করলে ঠান্ডা গরমের দোষ অনিবার্য , সাথে থাকবে গায়ে ব্যাথার প্রভাব ৷ সকালে দু এক ফোঁটা এসেন্সিয়াল ওয়েল বা গোলাপ জল বিশুদ্ধ স্নানের জলে মিশিয়ে ব্যবহার করলে, এড়ানো যাবে ঘামের দুর্গন্ধ, শরীরে ও মনে তরতাজা অনুভব ও উদ্যম বাড়বে ৷

পরিচ্ছদে যায় চেনা

বাইরে রোদের জ্বালাপোড়া থেকে বাচঁতে ছাতা ও সানগ্লাস ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি । তবে খেয়াল রাখতেই হবে পোশাকের গুনমান ৷ পাতলা সুতির পোশাক নিঃসন্দেহে ভাল ত্বকের পক্ষে , পারতপক্ষে সিন্থেটিক বা সুতি- সিন্থেটিক মিশ্রনের সুতো দিয়ে তৈরী শাড়ি বা শার্ট বর্জন করাই শ্রেয় ৷অল্পবয়সিদের জন্য লিলেন এর পোশাক ও ভাল কাজে দেবে এই গরমে ৷ সাথে অবশ্যই রাখতে হবে সুগন্ধি সুতির রুমাল ৷ আর যেহেতু গরমকাল তাই গাঢ় রং গুলো বাদ দিয়ে হালকা রঙের সুতির পোশাক দারুন দৃষ্টিনন্দন হতে পারে ।

পান- নিয়ে

বাইরে গরমে সভার মঝে দাঁড়িয়ে কুল কুল করে ঘামতে ঘামতে চোখ চলে যেতেই পারে দোকানের সামনে সাজানো লোভনীও ঠান্ডা রঙিন পানীয়ের দিকে । তবে ভুলেও ওপথে হাঁটা চলবে না । সকলেরই জানা আছে এই পরিস্থিতিতে ঠান্ডা পানীয় বিপদজ্জনক হতে পারে ৷ তা এড়িয়ে চলতে হবে সবসময় ৷বদলে সঙ্গে রাখা যায় গ্লুকোজ মিশ্রত জল , বা নুন চিনি দিয়ে তৈরী ors , যা শরীরে জলের অভাব পূর্ন করে ৷ দই দিয়ে তৈরী লস্যি বা ছাতুর সরবত ও পেট ওমন দুই ভরানোর জন্য একদম অব্যর্থ ৷ তবে কাটা ফল বা রাস্তায় তৈরী ফলের রস এড়িয়ে যাওয়াই ভাল ।

পদব্রজে পায়ের যত্ন

ভোট মানেই বিভিন্ন দলের মিছিলে পদযাত্রা , এই সময়ে পায়ের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি একটি কাজ হওয়া সত্ত্বেও অনেকে এড়িয়ে চলেন ।হাই হিল জুতো বাদ দিতে হবে , এর বেশী ব্যবহারে এতে পায়ের গোড়ালির সমূহ ক্ষতির কারন হতে পারে । পড়তে হবে ফ্ল্যাট চটি বা কোলাপুরি । রাতে পায়ের যন্ত্রনা কমাতে ঈষৎ ঊষ্ণ জলে কিছুক্ষন পা ডুবিয়ে রাখলে আরাম পাওয়া যায় ৷

সবকিছুর শেষে বলা যেতেই পারে ভোটবাজারে রাজনীতির সাথে সাথে নিজের শরীর ও স্বাস্থের যত্ন নিয়ে অাপনি হতে পারেন সু -স্বাস্থ সচেতনতার প্রতীক৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here