আজ সকালে বর্তমান কাগজের পাতায় একটি ছবি দেখলাম, টিয়া পাখি ও কাঠঠোকরা হয় ঝগড়া বা গল্প করছে। অপূর্ব ছবি🤩। কার তোলা খোঁজ করতে গিয়ে জানলাম ছবিটি বর্তমান পত্রিকার বিশিষ্ট চিত্রসাংবাদিক অতুন বন্দোপাধ্যায়ের তোলা। এই মুহূর্তে অতুন কোভিড পজিটিভ হয়ে বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে। স্ত্রী সুমন পজিটিভ না হলেও স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী হয়ে দিন কাটাচ্ছে। একমাত্র মেধাবী ছেলে দেবার্ঘ্য পাশেই দিদিমার বাড়িতে রয়েছে।
অতুনকে সাংবাদিকরা যত জানি তার চেয়েও বেশি জানেন সারা ভারতবর্ষের রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজরা। সর্বদা হাসিমুখ😄,কপালে লাল তিলক পরা এই অতুন আমাদের সব সাংবাদিকের কাছেই অত্যন্ত প্রিয়। ছবি তোলার ফাঁকে বেলুড় মঠে রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দের সব অনুষ্ঠান ছাড়াও আশ্রমে ওর নিয়মিত যাতায়াত ও যোগাযোগ। নিজের তোলা ছবির চেয়েও নিয়মিত ঠাকুর রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দের ছবি ওর পোস্টে দেখা যায়। বলতে বাধা নেই আমাদের সকল চিত্র সাংবাদিকদের চেয়ে অতুনের ভক্তি ও আস্থা আমাদের অবাক করে দেয়ে।
এই অতুন বি গার্ডেনের বাড়িতে বসে বসে জানালা দিয়ে এই ছবি ক্যামেরাবন্দি📸 করে। কোভিড পসিটিভ হয়ে যাওয়ার পর মনের শক্তি ও উচ্চতা কতটা বেশি থাকলে মানুষ বাড়িতে বসে কাজ করতে পারেন। বলতে বাধ্য হচ্ছি চিত্র সাংবাদিকদের এরকম মনের শক্তি সব সময় থাকে। এর আগেও আমাদের দুজন চিত্রসাংবাদিক পার্থ পাল এবং সলিল বেরা পজিটিভ হয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর এখন নিয়মিত কাজ করছে।
সাবাস অতুন, পার্থ এবং সলিল👏🏻। তোমরা সাংবাদিক সহ সাধারণ মানুষের মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছ তোমরা বোঝালে করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষের এত ভীতির প্রয়োজন নেই। এটা আজ বা কাল আমাদের হতেই পারে। হলেও চিকিৎসার পর আমরা আবার পরিবার বন্ধু-বান্ধব ও কাজের মধ্যে ফিরে আসবো😌।
অতুন এখন ভালো আছে। আজকের ছবিটায় ওর নাম থাকলে, হয়তো আরও বেশি ভালো লাগতো। যদিও এটা বর্তমান পত্রিকার আভ্যন্তরীণ বিষয়।
ধন্যবাদ অতুন🤝🏻। আমরা সব চিত্র সাংবাদিকরা তোর পাশে ছিলাম-আছি-থাকব👍🏻।