তপন দাশ-

স্কুলে পড়তে পড়তেই যার পরিচয় হয়ে ছিল সামাজিক বিভেদ ঘোচানোর স্বপ্ন। দেখেছিলেন বিশিষ্ট চিত্র সাংবাদিক অশোক মজুমদার। প্রথম জীবনে তিন মাস জেলে অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। বিপ্লবের ঘোর ছিল কলেজে দর্শন নিয়ে পড়ার সময়ে। অনেক টা পথ পেরিয়ে আত্মস্থ হলেন আজকাল সংবাদ পত্র বেরেনোর পর। তার পরেই ব্রেক সোজা আনন্দ বাজারে সংবাদ পত্রের পীঠস্থান এ। শুধু ই কাজের মধ্য দিন রাত পরিশ্রম করে সিঁড়ির এইখানে অশোক শেষ ধাপে উঠলেন। এবার একটা অদ্ভুত পরিবর্তন এলো যাকে বলে turn over a new leaf. তখন শুনতাম অনেকের মুখে অশোক খুবই পরোপকারী। এবেলা কাগজের প্রধান আলোক চিত্রগ্রাহক হবার পর মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডেকে নিলেন নিজস্ব সরকারি কাজে। এর আগে প্রথম থেকেই ছিলেন দিদির যাবতীয় প্রতিবাদ আন্দোলনে। যে কাজটা প্রথমেই করতে চেয়ে ছিলো সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ালেন। নিজের স্ত্রী কে পাশে করেএই ভয়ঙ্কর সংকটময় পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ালেন। ঔষধ দৈনন্দিন সামগ্রী ও অসুস্থ কে হাসপাতালে ভর্তি করতে সব রকমের সাহায্য এগিয়ে এলেন। সংবাদদাতা সংবাদ চিত্র গ্রাহকের ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ালেন। এই সংকট কালেএই অভূতপূর্ব কাজ আমার জীবনে কাউকে করতে দেখিনি। ওর সামাজিক. বিভেদ ঘোচানোর স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন কাজ করে যাচ্ছে।
যে কাজের কথা স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন জীবে দয়া করে যে জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।অশোক ঈশ্বর মানেন না… সাধারণ মানুষকেই শিব জ্ঞানে পূজা করে৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here