দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ উৎসবের মেজাজে মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। সোমবার বিকেলে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার দলীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠক করার পর এমনই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন পিঠেপার্বণের সময়। এই সময় তৃণমূল সরকারের সমস্ত প্রকল্পকে উদ্দীপনার সঙ্গে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার কথাই গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী গৌতম দেব এবং জলপাইগুড়ির জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী।
এদিন বিকেল ৩টে নাগাদ জলপাইগুড়িতে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে জলপাইগুড়ি পুলিশ লাইনের মাঠে হেলিকপ্টারে নামেন। মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে হেলিপ্যাডে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন আধিকারিক, দুই জেলার বিধায়ক ও দলীয় নেতারা। সেখান থেকে করলা বাঁধের ওপর দিয়ে জলপাইগুড়ি ক্লাব রোডের পূর্ত দপ্তরের বাংলোয় ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূল নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দলীয় বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। দলীয় কর্মীদের প্রত্যেক বুথের প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছনোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।’
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘চা–সুন্দরী সহ যে সব প্রকল্প রয়েছে, ‘দুয়ারে সরকার’–এর মাধ্যমে সেগুলো নিয়ে চা–বলয়ে প্রচারের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উৎসবের মেজাজে মানুষের বাড়িতে যেতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন। শীতকাল হল পিঠেপার্বণের উৎসব। এই উৎসবের সময় তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের উদ্দীপনাকে নিয়ে যুব, ছাত্র, মহিলা, সংখ্যালঘু, শ্রমিক, কৃষক, আদিবাসী, তফসিলি–সহ সকলের কাছে যাওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের একটি ভয়ঙ্কর দানবীয় শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। এ ব্যাপারে সকলকে একত্রিত হয়ে লড়াই করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাহাড় প্রসঙ্গে বলেছেন, পাহাড়ের উন্নয়ন ও শান্তির লক্ষ্যে সকলকে একসঙ্গে নিয়ে এগোতে হবে।’
মঙ্গলবার বেলা ১২টায় জলপাইগুড়ি শহরের এবিপিসি ময়দানে দুই জেলার দলীয় কর্মীদের নিয়ে আয়োজিত সম্মেলনে ভাষণ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। সভা শেষে চলে যাবেন কোচবিহার। বুধবার কোচবিহার জেলার দলীয় কর্মীদের নিয়ে সভা আছে মুখ্যমন্ত্রীর।