দেশের সময়,কলকাতাওয়েবডেস্কঃ ইডেনে ক্রিকেট আড্ডা। গোলাপী টেস্টের প্রথমদিন লাঞ্চের সময় ইডেনে স্মৃতিচারণায় বসে গেলেন, শচীন তেন্ডুলকার, ভিভিএস লক্ষ্মণ, হরভজন সিং ও অনিল কুম্বলে। লক্ষ্মণের কথায় উঠে এল, ২০০১ সালের সেই ঐতিহাসিক টেস্ট।ইডেনে ভিভিএসের ভেরি ভেরি স্পেশাল ইনিংস। উঠে এল এই ইডেনেই সেই টেস্টে হরভজনের হ্যাটট্রিক, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে।
মজার গল্প শোনালেন শচীন, ১৯৯৬ সালে মোহালিতে খেলতে গিয়ে প্রথম শুনেছিলেন হরভজনের কথা। কথায় কথায় ভাজ্জি জানালেন, কলকাতা তাঁর প্রাণের শহর। এখানে এসে মা কালীর আশীর্বাদ চাইলেন ভাজ্জি।শচীনের কথায়, ‘স্থানীয়রা বলছিল একটা ছেলে ভাল দুসরা করে। আমি বলেছিলাম, তাহলে নেটে ডাকো। সত্যি ভাজ্জি কিন্তু নেটে আমাকে যথেষ্ট সমস্যায় ফেলেছিল।’ আড্ডায় উঠে এল অনেক অজানা কথা।
সৌরভেরও এই আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল।কিন্তু আজ এতটাই ব্যস্ত তিনি যে থাকতে পারলেন না। তবে ১৯৯৩ সালের হিরো কাপের প্রসঙ্গ উঠল। সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শচীনের শেষ ওভার।শচীন জানালেন, ‘কপিল পাজি আজহার ভাইকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তারপর শেষ ওভার আমি পাই। কী টেনশন হয়েছিল সেদিন।’ কিংবা ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে কেরিয়ারের সেরা ওয়ানডে বোলিং কুম্বলের।
দেশের সেরা লেগস্পিনার বলে গেলেন, ‘এই ইডেনে বরাবরই দারুণ সমর্থন পেয়েছি। আজও দারুণ লাগে।’ শুধু কুম্বলে নয়, শচীন, ভাজ্জি, লক্ষ্মণদের কথায় বারবার উঠে এল কলকাতার প্রতি, ইডেনের প্রতি ভালবাসার কথা।