দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ ইটভাটার রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতির সরলীকরণ করল নবান্ন। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সরলীকরণের সিদ্ধান্ত পাশ হয়। এতদিন ইটভাটা ছিল খনি শিল্পের অন্তর্গত। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় এবার থেকে ইটভাটার জন্য দেড় মিটার পর্যন্ত মাটি খুঁড়লে তা আর খনি শিল্পের মধ্যে ধরা হবে না। মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের কথা নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

এ প্রসঙ্গে মুখ্যসচিবের ব্যাখ্যা, এর ফলে ইটভাটার রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি যেমন অনেক সরল হবে, তেমনই যে সমস্ত ইটভাটা নথিভুক্ত নয়, তা নথিভুক্তকরণের সুযোগও পাওয়া যাবে।


উলেখ্য এ রাজ্যে আইনি স্বীকৃতি আছে এমন ইটভাটার সংখ্যা ৫ হাজার ৬৩৫টি। তবে আইনি স্বীকৃতির বাইরেও বিভিন্ন জেলায় গজিয়ে উঠেছে একাধিক ইটভাটা। কোথাও খালের পাশে, কোথাও কৃষিজমিতে একের পর এক ইটভাটা তৈরি হয়েছে। সেগুলির এতদিন আইনি বৈধতা ছিল না।

মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের পর ওই ইটভাটাগুলিও বৈধতা পাবে। এই কাজের জন্য একটি মন্ত্রিগোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যসচিব।
তবে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত কেন?

রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক একাধিক প্রকল্প চলছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসাথী, একাধিক বড় বাজেটের প্রকল্প শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে সরকারের অর্থের প্রয়োজন। সেই কারণেই এর আগেও রাজ্য সরকার একাধিক পদক্ষেপ করেছে। ডিপিএলের জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত থেকে পূর্ত দফতরের মতো একাধিক দফতরের বাজেটেও কাটছাঁট শুরু করেছে নবান্ন। শুধু তাই নয়, দফতরের খরচেও রাশ টেনেছে নবান্ন। এবার রাজস্ব আদায়ের দিকেও আরও বেশি করে নজর দেওয়া হচ্ছে। এক আধিকারিকের কথায়, ইটভাটা নিয়ে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে অনেক ছোট ও মাঝারি ইটভাটা আইনি স্বীকৃতি পাবে। ফলত তা থেকেও রাজ্য সরকারের কিছুটা কর আদায় হবে বলে অনেকেই মনে করছেন৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here