ভ্রমণ মানচিত্রে স্থান পাক “বেড়ি পাঁচপোতা”
জ্যোতিপ্রকাশ ঘোষ
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার গাইঘাটা ব্লকের সীমান্তবর্তী সুটিয়া পঞ্চায়েতের অন্তগর্ত “বেড়ি পাঁচপোতা” সংলগ্ন চারটি সুবিশাল হ্রদ বেড়ির বাওড় (প্রায় 8.5 কিমি লম্বা), ডুমোর বাওড় (প্রায় 14 কিমি লম্বা) এবং ঝাউডাঙা জোড়া বাওড়(প্রায় 5 ও 3 কিমি লম্বা) সহ বেড়ি পাঁচপোতা জায়গাটিকে আমেরিকান বা ইউরোপিয়ান পর্যটন কেন্দ্রেগুলির (ইকোভিলেজ) আদলে গড়ে তোলার জন্য সুটিয়া পঞ্চায়েতের স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে রাজ্য প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর এবং রাজ্য পর্যটন মন্ত্রকের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রশাসনিক কর্মসূচী শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলাশাসক, মহকুমা শাসক সহ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ আধিকারিক বেড়ি পাঁচপোতা সংলগ্ন জায়গাগুলিতে একাধিকবার ঘুরেও গিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশা কয়েকমাসের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে স্থান পেতে চলেছে “বেড়ি পাঁচপোতা পর্যটন কেন্দ্র”টি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সম্পূর্ণ ইউরোপের দেশগুলির আদলে গড়ে উঠুক এই পর্যটন কেন্দ্রটি। যদি সঠিক ভাবনা চিন্তা দিয়ে গড়ে তোলা যায় এই পর্যটন কেন্দ্রটি, তাহলে বেড়ি পাঁচপোতা সংলগ্ন পাঁচটি পঞ্চায়েতের দশ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি, সরকারের ভ্রমণ কর বাবদ আয়ের অন্যতম অংশ হতে পারে এই ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রটি। স্থানীয় মানুষের আরো দাবি, পর্যটন মন্ত্রক বেড়ি পাঁচপোতা পর্যটন কেন্দ্রের জন্য ‘ইকোট্যুরিজম’ সম্পর্কিত একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন পর্ষদ গঠন করুক, যা শুধুমাত্র এই পর্যটন কেন্দ্রটি নিয়ে কাজ করবে।এজন্য বাসিন্দারা চাইছেন, ‘বেড়ি পাঁচপোতা’ সংলগ্ন সুটিয়া, রামনগর, ঝাউডাঙা, সগুনা ও ডুমা এই পাঁচটি পঞ্চায়েত নিয়ে গড়ে উঠুক “বেড়ি পাঁচপোতা পর্যটন কেন্দ্র উন্নয়ন পর্যদ”। উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন এই পর্যদের মাধ্যমেই অতি দ্রুত পুরো পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হোক।
আপাতত, যদি পর্যদ গঠন সম্ভব নাও হয়, তবে শুধুমাত্র ইকোট্যুরিজম নিয়ে কাজ করার জন্য মাননীয়া মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে একটি তিনজন বা পাঁচজনের কমিটি গঠন করা হোক এবং এই কমিটির মাধ্যমেই অতি দ্রুততার সহিত গড়ে তোলা হোক এই পর্যটন কেন্দ্রটি।