দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: লকডাউন পরবর্তী সময় দেশে ব্যবহৃত গাড়ির কেনার চাহিদা নতুন গাড়ির থেকে তুলনামূলকভাবে বাড়তে পারে। এমনটাই মনে করছে বাণিজ্য মহল।
তার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, যেহেতু কোভিড–১৯ অত্যন্ত সংক্রামক রোগ, সেহেতু, বেশিরভাগ দেশবাসীই বাস, লোকাল ট্রেন, মেট্রোর মতো গণ পরিবহনে চড়তে ভয় পেতে পারেন। একইভাবে হয়তো পরিচ্ছন্নতা ইস্যুতে ট্যাক্সি বা ওলা–উব্রের মতো পরিবহনও এড়াতে চাইবেন। এবং অনেকেরই নতুন গাড়ি কেনার আর্থিক সামর্থ্য নেই। আবার যাঁদের রয়েছে তাঁরাও নতুন গাড়ি কিনতে গিয়ে এই অর্থনৈতিক সঙ্কটকালে সেই বিশাল পরিমাণ টাকা খরচ করতে নারাজ হতে পারেন।
সেক্ষেত্রে ব্যবহৃত গাড়ি বা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনার চাহিদা অনেকটাই বাড়তে পারে। কারণ নতুন গাড়ির থেকে ব্যবহৃত গাড়ির দাম অপেক্ষাকৃত কম।
মাহিন্দ্রা ফার্স্ট চয়েস হুইলস্–এর এমডি তথা সিইও আশুতোষ পান্ডে যেমন বলছেন, বিএস৬ মডেলের গাড়ি সংখ্যায় কম থাকায় বিএস৪ মডেল কেনার চাহিদা বাড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা। তিনি বলছেন, ভারতে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির চাহিদা বরাবরই অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো। তবে মারুতি সুজুকি এবং হুন্ডাই মোটোর ইন্ডিয়া সাধারণত তাদের নিজেদের মডেলই সেকেন্ড হ্যান্ড বিক্রি করে। কিন্তু মাহিন্দ্রা ফার্স্ট চয়েস হুইলস্, টয়োটা ইউ–ট্রাস্ট সব কোম্পানির সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়িই বিক্রি করে থাকে।
যাঁদের দুচাকার গাড়ি আছে, সামাজিক দূরত্ব বিধি মানতে তাঁরাও ব্যবহৃত গাড়ি কিনতে চাইবেন বলেই মনে করছেন এফসিএ–এর এমডি তথা সভাপতি পার্থ দত্ত। তবে যেভাবেই হোক, এর ফলে গত কয়েক মাসের ঝিমিয়ে থাকা গাড়িবাজার যে কিছুটা লাভের মুখ দেখবে এমনটাই মনে করছেন গাড়ি বিশেষজ্ঞরা।