দেশেরসময় ওয়েবডেস্ক: আগামী বইমেলার থিম কান্ট্রি ‘বাংলাদেশ’। বাংলাদেশের মন্ত্রী কে এম খালিদ ঘোষণা করেন সমাপ্তি মঞ্চ থেকে। বাংলাদেশ থিম কান্ট্রি বলে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। পরে সাংবাদিকদের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানালেন, তিনি এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্ন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলবেন।
পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু দে জানান, শেখ হাসিনাকে আনার ব্যাপারে তিনিও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার করবেন। বাংলাদেশের জাতির জনক মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ। বছরটি মুজিববর্ষ হিসাবে পালিত হবে। কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাস সূত্রে জানানো হয়েছে, মুজিবকে কেন্দ্র করেই সমস্ত অনুষ্ঠান হবে।
এদিকে, এবার সব মিলিয়ে বইবিক্রির পরিমাণ ২৩ কোটি টাকার কাছাকাছি। গতবার প্রায় ২১ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছিল। শতাংশের হিসেবে ১০ শতাংশ বেশি। এবার মেলায় লোক হয়েছে প্রায় ২৫ লাখ। গতবারের থেকে এক লাখ বেশি। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি, সুজিত বসু, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়, সাহিত্যিক বিনতা রায়চৌধুরি, হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত, সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার প্রমুখ।
গিল্ডের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকার, বিধাননগর পুরনিগম, পুলিশ, প্রকাশক ও পাঠকদের ধন্যবাদ জানানো হয় সহযোগিতা করার জন্য। এদিনই সেরা স্টল ও প্যাভিলিয়নকে পুরস্কৃত করা হয়। এ বছর হাজার টাকার বই কেনার ওপর লটারি হয়েছে। পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। সমমূল্যের বই।
মেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত বহু বইপ্রেমী ভিড় করে ছিলেন। প্রতিবারের মতো এবারও রাত নটার সময় বেজে উঠল মেলার সমাপ্তির ঘণ্টা। সেই ঘণ্টাধ্বনির সঙ্গে মাঠে উপস্থিত বইপ্রেমীরাও হাততালি দিয়ে যোগ দিলেন। প্রত্যেকর মধ্যেই যেন বিষণ্ণতার সুর। আবার এক বছরের প্রতীক্ষা।