দেশের সময়ওয়েবডেস্ক: দীপাবলিতে আলো নেই গয়না শিল্পে। সারাবছর যতই বিক্রি হোক ধনতেরসের বাজারের দিকে চেয়ে থাকেই এই শিল্প। কিন্তু এবার সেই বাজারই চিন্তায় রেখেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এবার বিক্রি ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কম হতে পারে।
এখন আশা একটাই। বাকি থাকা এক সপ্তাহে যদি কিছু দাম কমে। গত মাসেই সোনা বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার টাকা গ্রাম দরে। এখনও আশেপাশেই রয়েছে সোনালি ধাতুর দর। গ্রাম প্রতি ৩ হাজার ৮০০ টাকা দর চলছে। আর তাতেই চিন্তা, ধনতেরসে ক্রেতাদের আগ্রহ দেখা যাবে তো!
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অনন্ত পদ্মনাভন জানিয়েছে, “সোনার দাম গত মাসে ১০ গ্রাম প্রতি ৪০ হাজার টাকা হয়ে গিয়েছিল। এখনও দাম চড়া। উৎসবের মরসুমে এত দামের কারণে সোনার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন ক্রেতারা। আগামী এক সপ্তাহে যদি সোনার দরে বড় কিছু পরিবর্তন না হয় তবে গোটা দেশেই ধনতেরাসের বাজার নিয়ে চিন্তা রয়েছে। বিক্রি ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।”
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের ভারতীয় শাখার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সোমসুন্দরম পিআর বলেন, সোনার দাম যে ভাবে বেড়ে চলেছে তাতে মাসের পর মাস ক্রেতার সংখ্যা কমছে। প্রায় এক বছর ধরে বাজার খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছে। সোনা বা সোনার গয়না কেনাকাটা যে একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে তা নয়, কিন্তু পরিমাণে সেটা অনেকটাই কমছে। ২০১৯ সালে ভারতের বাজারে সোনার বিক্রি ধরা হয়েছিল ৭৫০ থেকে ৮০০ টন। এখন সেটা পুনর্বিবেচনা করতে হবে বলেও সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন সোমসুন্দরম।
তিনি আরও জানিয়েছে, ২০১৭ সাল থেকেই চাহিদার থেকে সোনার আমদানি বেশি হয়েছে। গত জুলাই, অগস্ট থেকে সেটাও কমে গিয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে সোনার বাজার কতটা খারাপ।
তবে এসবের মধ্যেও আশায় আছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। আশা করছেন আগামী এক সপ্তাহে একটু হলেও কমবে সোনার দাম। আর তাতে বাজার তৈরি হবে। এর পরেই আসছে বিয়ের মরসুম। তাতেও সোনার চাহিদা তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন থেকেই তাই নানা অফার ঘোষণা করে ক্রেতা টানার চেষ্টা শুরু হয়েছে।