দেশের সময় , অশোকনগর: বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের বিরুদ্ধে কাজ করার অভিযোগ উঠল অশোকনগর মিলেনিয়াম সাইন্স পার্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সেখানে দীর্ঘদিন ধরে বেশকিছু বন্যপ্রাণী কে আটকে রাখার অভিযোগ আনল বনদপ্তর স্থানীয় পরিচালিত সরকারি অনুমতি ছাড়াই বেশকিছু পশুপাখি আটকে রাখা হয়েছিল উদ্ধার করে নিয়ে গেল জেলা বনদপ্তর।

অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার পরিচালনায় বেশ কয়েক বছর আগেই বিশাল এলাকাজুড়ে তৈরি হয় মিলেনিয়াম সায়েন্স পার্ক। সেই সময় পুরসভা পরিচালনার দায়িত্বে ছিল বিজেপি।

সেই সময় থেকে দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য বেশ কিছু দেশীয় পশু পাখিকে পার্কের ভেতরে নির্দিষ্ট জায়গায় খাঁচা তৈরি করে রাখা হয়েছিল। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বন দপ্তরে অভিযোগ জমা পড়ে যে, এই পার্কের ভেতরে বেশ কিছু পশু পাখি খাঁচা বন্দি করে রাখা হয়েছে, যা বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন বিরোধী।

দিন কয়েক আগে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে স্থানীয় পুর প্রশাসকের কাছে একটি চিঠি লিখে বলা হয়, পার্কের ভেতরে যে দেশীয় পশুপাখি আটকে রাখা হয়েছে, সেগুলি বনদপ্তরের হাতে তুলে দিতে হবে। সেই চিঠির প্রতিউত্তরে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়ে চিঠি দেয় বনদপ্তরকে।

তারপর শনিবার সকালে বারাসতের ফরেস্ট রেঞ্জার ভাস্কর জ্যোতি পালের নেতৃত্বে বনদপ্তরের এক প্রতিনিধি দল মিলেনিয়াম সাইন্স পার্কে আসেন। সেখানে তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, পশুপাখি রাখার অধিকার সংক্রান্ত কোনো সরকারি অনুমতিপত্র তাদের কাছে নেই, যার জন্য তারা এ ধরনের পশু পাখি পার্কে রাখতে পারেন।

এই পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতাতেই পার্ক থেকে বিভিন্ন পাখি, ময়ুর, সাপ, বাদর উদ্ধার করে নিয়ে যায় বনদপ্তর। সেগুলির একাংশকে বিভূতিভূষণ অভায়ারণ‍্যে ছেড়ে দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এ ব্যাপারে রেঞ্জার ভাস্করজ্যোতি পাল জানান, ‘প্রয়োজনীয় সরকারি অনুমতি না থাকায় এই পশু পাখিগুলি আমরা পার্ক কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছি।’

এ ব্যাপারে অশোকনগর কল্যাণগড় পৌরসভার প্রশাসক প্রবোধ সরকার বলেন, ‘তৎকালীন বিজেপি পরিচালিত পুরসভা কর্তৃপক্ষ এই পশুপাখিগুলি পার্কে স্থান দিয়েছিল। কিন্তু তার কোন সরকারি অনুমতি আছে কি না তা কখনো খোঁজ নিয়ে দেখার প্রয়োজন হয়নি বলে সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। আগামী দিনে দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য আমরা বিকল্প ব্যবস্থা করব।’


LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here