দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করবে সুপ্রিম কোর্ট। তার আগে রাজ্যের সব থানাকে সতর্ক করল নবান্ন। বলা হল, চোখ কান যেন খোলা রাখা হয়। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে।
এমনিতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে শনিবার ভোর রাত থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় অঝোরে বৃষ্টি পড়ছে। পুলিশের এক কর্তার কথায়, তাতে শাপে বর হয়েছে। এমনিতেই রাস্তায় লোক কম বেরোবে। কিন্তু তার পরেও পুলিশ ও প্রশাসন সতর্ক।
অযোধ্যা রায় রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে যে স্পর্শকাতর সে ব্যাপারে কোনও সংশয় নেই। দুদিন আগে দলের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পই পই করে বলে দিয়েছেন, রায় বেরোনোর পর কেউ যেন আলটপকা কোনও প্রতিক্রিয়া না জানান। যা বলার তা তিনিই বলবেন।
অন্যদিকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি বলেছেন, অযোধ্যা রায়ে কারও জয় বা পরাজয় হবে না। তাঁর কথায়,“গত কয়েক মাস ধরে সুপ্রিম কোর্টে নিয়মিত শুনানি হয়েছে। সারা দেশ শুনানির ওপরে নজর রেখেছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করছেন। তাঁদের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।আমি দেশবাসীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি, অযোধ্যা রায়ের পর আমাদের শান্তি ও সৌহার্দ্যের ঐতিহ্য যেন অটুট থাকে।”
নবান্ন সূত্রে বলা হচ্ছে, স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে সোশাল মিডিয়ার উপরে নজর রাখছে পুলিশ। কেউ কোনও বিভ্রান্তিমূলক বা উস্কানিমূলক তথ্য শেয়ার করলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
কেবল প্রশাসন নয়, বাংলার রাজনৈতিক শিবিরগুলিও এ ব্যাপারে সক্রিয়। জানা গিয়েছে, শাসক ও বিরোধী দুই পক্ষের নেতারাই ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন। সৌভাতৃত্বের পরিবেশ বাংলায় যাতে বাংলায় অটুট থাকে তা সুনিশ্চিত করাটাই তাঁদের লক্ষ্য।