দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শুক্রবারও বিক্ষোভে উত্তাল রাজধানী। নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ আছড়ে পড়ল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়ির দোরগোড়ায়। কংগ্রেসের সেই বিক্ষোভ থেকে আটক করা হল দিল্লি কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়কে।

এদিন কংগ্রেসের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ চলছিল। অমিত শাহের বাড়ির কাছে মিছিল পৌঁছতেই একাধিক কংগ্রেসকর্মীকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে দিল্লির মন্দিরমার্গ থানায়।

শর্মিষ্ঠা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, “এই সরকার হ্যাসিবাদী মনোভাব নিয়ে চলছে। একদিকে সংবিধানকে লঙ্ঘন করছে। আর তার প্রতিবাদ করলেই পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করাচ্ছে।” সেই সঙ্গে প্রণব-কন্যা আরও বলেন, “এই আন্দোলন একাহ্নেই থামছে না। যে আন্দোলন তৈরি হয়েছে, আগামী দিনে তা আরও তীব্র হবে।”

কয়েকদিবন আগেই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, “নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে কেউ স্থায়ী সরকার গড়তে পারে ঠিকই। কিন্তু তার মানেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মত তার পক্ষে রয়েছে এমন নয়, তাই তা সংখ্যাগরিষ্ঠের সরকার নয়। এটাই আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্রের সার কথা”।

নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা সরকার কেন সংখ্যাগরিষ্ঠের সরকার নয় তা বিশদে ব্যাখ্যাও করেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, আমাদের দেশে কখনওই কোনও দল বা ব্যক্তি ৫১ শতাংশ ভোটারের জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় আসেননি। ১৯৫২ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত কখনওই তা হয়নি। ১৯৫৭ সালে পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু ৪৮০ টি আসনের মধ্যে ৩৭১টি আসনে জিতে সরকার গড়েছিলেন।

কিন্তু তখনও ৪৭.৭৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন তিনি। ৮৪ সালের ভোটে রাজীব গান্ধী ৫১৪ টি আসনের মধ্যে ৪০৪ টিতে জিতলেও তিনিও ৫১ শতাংশ ভোট পাননি। প্রণববাবু অবশ্য উনিশের লোকসভা ভোটের প্রসঙ্গ তোলেননি।

কিন্তু উল্লেখযোগ্য হল, এবার লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর দল বিজেপি একাই তিনশ’র বেশি আসনে জিতলেও মাত্র ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। অর্থাৎ এই সরকারকেও সংখ্যাগরিষ্ঠের সরকার বলা যায় না।

গতকালও দিল্লি উত্তাল হয়েছিল বিক্ষোভে। একাধিক বাম নেতানেত্রীকে আটক করেছিল পুলিশ। ১৪৪ ধারা উড়িয়ে বিক্ষোভ হয়েছিল যন্তরমন্তরের সামনে। এদিনও ছবিটা বদলাল না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here