দেশের সময় ওয়েবডেস্ক:এ রাজ্যে বিজেপি যে তৃণমূলকে কোন ছাড় দিতে রাজি নয় তা বোঝাতে এবার লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্য থেকেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে প্রার্থী করার কৌশল নিতে চলেছে বিজেপি।এরই মধ্যে রাজ্যের সদর দপ্তর থেকে এই খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যে অমিত শাহ এ রাজ্যের আসানসোল অথবা উত্তর কলকাতা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।তবে দলীয় সূত্রের খবর এই খবর ছড়িয়ে দেবার পেছনে একটা অন্য কৌশল আছে এবার এ রাজ্যের প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়তে চলেছেন বাবুল সুপ্রিয়।বাবুলের সঙ্গে রাজ্য নেতাদের সম্পর্ক একেবারেই ভাল নয় তাই বাবুলের আসানসোলে এবার অন্য কেউ প্রার্থী হবেন।বাবুলকে তাই বার্তা দিয়ে রাখা হোল যে এখানে স্বয়ং অমিত শাহকে দাঁড় কারানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।বিষয়টি নিয়ে বাবুল যেন কোনরকম অসন্তোষ প্রকাশ করতে না পারে তার জন্য একেবারে খোদ দলের সভাপতিকে এখানে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করে বাবুলকে চাপে রাখা হোল।অন্যদিকে এ রাজ্যে তৃণমূলকেও এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা হোল যে তাদেরও কোন ছাড় দেওয়া হবে না,এ রাজ্যকে বিজেপি যে পাখির চোখ করছে তা সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বিজেপির রাজ্য নেতারা অমিত শাহকেই সামনে রাখতে চাইছে।একই সঙ্গে রাজ্য স্তরে যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব আছে তা সামাল দিতেও এই কৌশল কার্যকরি বলে মনে করছেন বিজেপির রাজ্য নেতারা।এরই মধ্যে রাজ্যে অমিত শাহকে বার বার এনে যদি সভা করা যায় এবং সংগঠনকেও বাড়তি শক্তি দেওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা।কেউ কেউ বলছেন গোটা বিষয়টা,শুরু হয়েছে মুকুল রায়ের বুদ্ধিতেই।রাজ্য বিজেপিকে নতুন করে সাংগঠনিক দিক থেকে শক্তিশালী করতে এবং বর্তমান নেতৃত্বকে কোণঠাসা করে নিজের শক্তি বাড়াতেই এই বিবিধ কৌশল নিয়েছেন মুকুল রায়।গোটা বিষয়টাতে অনুমোদন দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।অমিত শাহ ছাড়াও এ রাজ্যে আর একজন বড় সেলিব্রিটিকে প্রার্থী করার কথা ভাবছে বিজেপি।ক্রিড়া জগতের সেই নামী ব্যক্তিত্ব যদি বিজেপির হয়ে দাঁড়াতে রাজি হয়ে যান সেটা সবচেয়ে বড় চমক হবে বলে বিজেপির অন্দর মোহলের খবর।অমিত শাহের নাম ভাসিয়ে দিয়ে যে চমক তৈরি করা হয়েছে সেটা একেবারেই ভেবে চিন্তে করা হয়েছে।মুকুল রায় এই কৌশল দিয়ে একই সঙ্গে রাজ্য বিজেপিতে যাবতীয় কোন্দল যেমন থামিয়ে দেবার কৌশল নিয়েছেন,তেমনি তিনি রাজ্য নেতৃত্বের রাশ নিজের হাতে নেওয়ারও প্রয়াস শুরু করে দিয়েছেন বলে খবর।সম্প্রতি দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন মুকুলবাবু,সূত্রের খবর সেখানে রাজ্য বিজেপির বর্তমান নেতৃত্ব নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুকুল রায়, তাঁকে যে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না সে বিষয়েও তিনি অমিত শাহকে জানান।অমিত শাহই তখন মুকুল রায়কে বলেন যে কোন কারণেই হোক দিলীপ ঘোষকে এখনই সরানো যাবো না,তবে এরই মধ্যে তিনি মুকুল রায়কে তাঁর কৌশল অনুযায়ী কাজ করতে বলেন।খবর হোল এই যে,তখনই মুকুল রায় তাঁর কৌশল অনুমোদন করার জন্য অমিত শাহকে অনুরোধ করেন।অত্যন্ত চতুর অমিত শাহ জানের এ রাজ্যের রাজনীতি হাতের তালুর মত চেনা মুকুল রায় নির্বাচনি কৌশল সাজাতে মস্টার।তাই অমিত শাহ মুকুল রায়কে তাঁর কৌশল অনুযায়ী কাজ করতে বলেন।আর তখন থেকেই মুকুল রায় যাবতীয় বিষয় সাজিয়ে ফেলতে শুরু করেন।অমিত শাহ যদি শেষ পর্যন্ত এ রাজ্য থেকে না দাঁড়ান তা হলেও এই চমক দেওয়া কৌশল অনেক গুলো কাজ করে দেবে,যেমন রাজ্যে প্রার্থী হতে আসতে পারেন খোদ সভাপতি এই প্রচার রাজ্যে গোষ্ঠী কোন্দল কমিয়ে দেবে।বাবুলকে মানসিক দিক থেকে প্রস্তুত রাখা হোল যে তাঁকে এবার নাও দাঁড় করানো হতে পারে,এ নিয়ে পড়ে কোন জটিলতা আটকানো গেল।তৃণমূলকে চাপে রাখা গেল,আবার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিজেপি -তৃণমূলের আঁতাত নিয়ে যে সন্দেহ দানা বাঁধছে তা কিছুটা হলেও আটকানো গেল।এই এতগুলো কাজ এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে করে দেওয়া গেছে।শোনা যাচ্ছে রথ যাত্রার সময় থেকেই সংগঠন গড়ার কাজ হতে থাকবে,জেলা ভিত্তিক রিপোর্ট তৈরি করা হবে,নিষ্ক্রিয় কর্মীদের চিহ্নিত করা হবে।যাবতীয় চমকের মধ্যে ঘর গোছানোর যে বার্তা ফুটে উঠছে তাতে যে কোন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরই মনে হতে পারে এর পেছনে যে মাথা কাজ করছে তা যথেষ্ট বুদ্ধি ধরে।দিলীপ ঘোষের চাচাছোলা কথা বার্তায় আর যাই হোক বুদ্ধির ধার যে খুব একটা থাকে না তা সবাই জানেন,তাই বুঝে নিতে অসুবিধা হচ্ছে না মাথাটা আসলে প্রাক্তন তৃণমুলের সেকেন্ড ইন কমান্ড মুকুল রায়েরই।মুকুল কৌশল বিজেপিতে কার্যকরি হওয়া শুরু হয়েছে এটাই রাজ্য বিজেপির আসল চমক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here