দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপনকে কেন্দ্র করে দিল্লি কলকাতা যে এক নৌকোয় নেই তা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করছেন, ২৩ জানুয়ারি জাতীয় ছুটি ঘোষণা করা হোক, সাউথ ব্লক তা এখনও মানেনি।
আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার ওই দিনটি যখন ‘পরাক্রম দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করেছে, তখন নবান্ন বলছে আমরা তো বলেছিলাম ‘দেশনায়ক দিবস’ হোক। আবার বামেরা বলছে ‘দেশপ্রেম দিবস’ করল না কেন! এমনকি কালকা-হাওড়া ট্রেনের নাম বদল করে ‘নেতাজি এক্সপ্রেস’ করার যে ঘোষণা দিল্লি করেছে তাকেও বিশেষ আহ্বান নেই বাংলার সরকারের।
এ হেন পরিস্থিতিতে শনিবার নেতাজির জন্মদিনে কলকাতায় দুটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। একটি হবে জাতীয় গ্রন্থাগারে। অন্যটি হবে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে। সেখানে নেতাজিকে নিয়ে একটি স্থায়ী প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘পরাক্রম দিবসের’ কর্মসূচি রয়েছে। তার আয়োজনে রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। ভিক্টোরিয়ার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণও সংস্কৃতি মন্ত্রকের হাতে। সূত্রের খবর, ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
.প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা যাবে কি মুখ্যমন্ত্রীকে?
নবান্ন থেকে তা নিশ্চিত ভাবে এখনও জানানো হয়নি। ওই দিন রাজ্য সরকারও পদযাত্রার আয়োজন করেছে কলকাতায়। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হবে। ৮ কিলোমিটারের ওই পদযাত্রা বেলায় শুরু হয়ে কখন শেষ হবে সেটা প্রশ্ন। তবে প্রধানমন্ত্রীর ভিক্টোরিয়ার অনুষ্ঠান রয়েছে বিকেল সাড়ে চারটের পর।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষবার দেখা হয়েছিল আমফানের পর। এক সঙ্গে হেলিকপ্টারে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন তাঁরা। তার পর এই প্রথম ফের কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী।
আর হ্যাঁ! ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানে বিজেপির রাজ্য নেতাদের কয়েকজনও থাকবেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন শুভেন্দু অধিকারী।