দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল। তাঁর রাজনৈতিক সহকর্মী, বাংলার কংগ্রেসি ভাবধারার মানুষেরা তো বটেই, বিরোধী শিবিরের নেতানেত্রীরাও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির মৃত্যুতে শোকাহত।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকজ্ঞাপন করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বর্ষীয়ান নেতা, প্রাক্তন সাংসদ ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর মৃত্যুর খবরে আমি স্তম্ভিত। ওঁর পরিবার, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’ কংগ্রেস সাংসদ ও লোকসভায় অন্যতম মুখ অধীর চৌধুরী ভেঙে পড়েছেন সোমেন মিত্রর মৃত্যুতে। তিনি বলেছেন, ‘সোমেন মিত্র আর নেই, এটা ভাবতে পারছি না। বাংলার একটা অধ্যায় সমাপ্ত হলো। সংগ্রাম করে, প্রতিকূলতার মোকাবিলা করে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমার রাজনৈতিক অভিভাবক, আমাকে জনপ্রতিনিধি করার মূল কারিগর সোমেন দা কে হারিয়ে আমি দুঃখে কাতর ও বেদনাহত হলাম।’
সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘ছোটবেলা থেকে রাজ্যের যে ক’জন রাজনৈতিক নেতার নাম শুনেছি, তার মধ্যে অন্যতম সোমেন মিত্র। ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকলেও শ্রদ্ধার সম্পর্ক ছিল। পরে বাম–কংগ্রেস বন্ধুত্বের পর থেকে আরও কাছাকাছি এসেছিলাম। সকালে উঠে খবরটা শুনে অত্যন্ত ব্যথা অনুভব করছি। পরিবারের সকলের প্রতি সমবেদনা রইল।’ প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী তাঁর শোকবার্তায় বললেন, ‘আমরা সোমেন মিত্রকে ভালবাসা, সম্মান এবং সুখ্যাতির সঙ্গে মনে রাখব। ওঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী তাঁর শোকবার্তায় বললেন, ‘আমরা সোমেন মিত্রকে ভালবাসা, সম্মান এবং সুখ্যাতির সঙ্গে মনে রাখব। ওঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’ রাজ্যে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ বলেছেন, ‘আমার হৃদয় বিদীর্ণ। বাংলার লক্ষ লক্ষ জীবন বদলে দিয়েছেন সোমেনদা।’ রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও সোমেনের মৃত্যুতে শোকাহত।
তিনি বলেছেন, ‘সোমেন মিত্রর মৃত্যুতে আমি স্তব্ধ। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে ওঁর পরামর্শে চরম উপকৃত হয়েছি। বাংলা তাঁর অবদান মনে রাখবে। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’